ছবি: রয়টার্স
সোমবার রাতের ঘটনার কথা ভাবলেই এখনও শিউরে উঠছেন ফজলুর রহমান।
ঢাকার কল্যাণপুরের পাঁচ নম্বর রোডের যে ‘জাহাজ বাড়ি’-তে জঙ্গি-পুলিশ গুলির লড়াই হয়েছে তার একটি বাড়ি পরেই তাঁর নিজের বাড়ি। ওই সংঘর্ষের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফজলুর রহমান জানান, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের আনাগোনা দেখতে পান তাঁরা। তার কিছু ক্ষণ পরেই ওই জঙ্গি ডেরা থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, ‘ইসলামের শাসন চাই’, ‘জুলুমবাজদের আস্তানা থাকবে না’ ইত্যাদি। উফজলুর বলেন, ‘‘পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তারা বলতে থাকে, আমাদের মেরে ফেললে আমরা শহিদ।’’
ফজলুর বলেন, ‘‘রাত আড়াইটে নাগাদ গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। ভোরের দিকে দু’পক্ষের গুলির শব্দ আরও বেড়ে যায়। যেন খই ভাজার শব্দ হচ্ছিল। কান চেপে ধরে রাখতে হয়েছে। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ ভোরে বাইরে এসে শুনতে পেলাম, ওই ডেরায় বাস করা ৯ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। কী ভয়ানক একটা রাত পার করেছি, ভাবতেই গা শিউরে উঠছে! ভয়ে ঘরের সব জানলাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’’ তিনি জানান, জাহাজ বাড়ির ওই ভবনটির চার থেকে ছ’তলা পর্যন্ত ব্যাচেলরদের মেস। পুলিশের কাছে ফজলুর শুনেছেন, জঙ্গিরা থাকত পাঁচ তলায়।
জানা গিয়েছে, মিরপুর থানার পুলিশ সোমবার রাত ১১টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় বিভিন্ন মেসে তল্লাশি চালাচ্ছিল। পাঁচ নম্বর রোডের পাঁচ নম্বর বাড়িটির সামনে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ খবর পেয়েই চটজলদি ঘটনাস্থলে যায় র্যাব, সোয়াট, ডিবি-র লোকজন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ সময় দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে ৯ জঙ্গি নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বুকে জঙ্গি ডেরায় অভিযান, হত ৯