সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন শাসক আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার কলকাতায় তিনি বলেন, ‘‘২০১৯-এর জানুয়ারির মধ্যে নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই নির্বাচন করাতে চায় সরকার।’’
নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে বাংলাদেশে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘‘পুরো মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে আমাদের সরকার।’’ কিন্তু নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে এর আগে নির্দিষ্ট ভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এ দিন কলকাতা সফরের শেষ দিনে সাংবাদিক ও বিশিষ্ট জনেদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘সময়ে নির্বাচন করাটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ২০১৪-র ২৯ জানুয়ারি এই সরকার কাজ শুরু করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী তার তিন মাস আগে নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ— ২০১৮-র অক্টেবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আমরা বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকেই বাছব।’’
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি, কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও আওয়ামি লিগের নেতা বিপ্লব বড়ুয়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ওবায়েদুল কাদের বলেন, এ বারের নির্বাচন বাংলাদেশের পক্ষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সহযোগিতায় একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই তাকে ফের পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে। কাদের বলেন, ‘‘এক মাত্র পরমাণু অস্ত্র তৈরি ছাড়া সব বিষয়ে আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে। পাকিস্তানের জিডিপি সূচক যখন ৫.২৮, বাংলাদেশের ৭.২৮।’’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘মৌলবাদকে রুখে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে সরকার।’’ মন্ত্রী জানান, সেই সেতুর ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকায় মেট্রো রেল হচ্ছে। সব চেয়ে বড় কথা—যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করেছে এই সরকার।
আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের বিজয় ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই। বিজয়ের মাসে নির্বাচন করতে চায় এই সরকার। সেই নির্বাচনে ভারতের মানুষের শুভেচ্ছা চাই।’’