—ফাইল চিত্র।
নিরাপত্তার অবস্থা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সব কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল।গুলশন হামলা সহ অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকফোকর খুঁজে দেখে তা ভরাট করার পর এই প্রতিষ্ঠান আবার তার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে। বুধবার বিকেলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গুলশান ও শোলাকিয়ায় সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং কল্যাণপুর সহ নানা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ধরা পড়ার পর একটা জিনিস স্পষ্ট, সন্ত্রাসবাদীরা তাদের শাখাপ্রশাখা বিস্তারই শুধু করেনি, নাশকতার ছকও চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। এর মধ্যে গুলশন হামলার মূল টার্গেটই ছিলেন বিদেশিরা।
ব্রিটেনের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল অপারচুনিটিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেলেই ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিস চালু করে নিয়মিত কাজকর্ম শুরু করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম বিবৃতিতে বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে জনসমাগমস্থলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মী এবং এখানে যাতায়াত করেন যাঁরা, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখতে আমাদের অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: ঢাকায় হত জঙ্গিদের এক জন সেই নিবরাসের বন্ধু এবং মার্কিন নাগরিক
১৯৫১ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কাজ শুরু করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বর্তমানে ঢাকায় দুটি-সহ বাংলাদেশে সংস্থাটির মোট চারটি অফিস রয়েছে। সে দেশের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনাতেই হয়। কিন্তু এখন সে সব পরীক্ষার না থাকায়, সাময়িক অফিস বন্ধের কোনও প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়বে না।