রামকৃষ্ণ মিশনের কায়দায় বৌদ্ধ পুরোহিতকে হত্যার হুমকি

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে উড়ো চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এ বার হুমকি দেওয়া হল ঢাকার বৌদ্ধ বিহারের প্রধান পুরোহিতকে। একই কায়দায় এবং একই ব্যক্তির নামে এ বারও এ হুমকি এল। উড়ো চিঠিতে বলা হয়েছে— বৌদ্ধ ধর্মপ্রচার বন্ধ না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

Advertisement

কুদ্দুস আফ্রাদ

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০০:১১
Share:

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে উড়ো চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এ বার হুমকি দেওয়া হল ঢাকার বৌদ্ধ বিহারের প্রধান পুরোহিতকে। একই কায়দায় এবং একই ব্যক্তির নামে এ বারও এ হুমকি এল। উড়ো চিঠিতে বলা হয়েছে— বৌদ্ধ ধর্মপ্রচার বন্ধ না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এ ঘটনার পর ঢাকার বাসাবো'র ওই বিহারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিহার এবং তার আশেপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবুজবাগ থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে জনগণকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

দিকে দিকে হিংসা, সন্ত্রাস, কে ‘মূল চক্রী’? কী বলছে বিজ্ঞান?

Advertisement

দু’টি হত্যার উড়ো হুমকিতেই মিল রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনে যে নামে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, বাসাবো'র বৌদ্ধ পুরোহিতকেও একই নামে হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবারের চিঠিটিও আগের মতোই হাতে লেখা এবং চিঠির শেষে প্রেরক হিসেবে এ.বি সিদ্দিকের নাম রয়েছে।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস ফকির বলেন, “চিঠিতে হুমকিদাতা নিজেকে এবি সিদ্দিক বলে পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত শুদ্ধানন্দ মহাথের জিডি করেছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেই জিডির তদন্ত করছি। বৌদ্ধ মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুরোহিতকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।”
গত ১৫ জুন একই কায়দায় আইএসের নামে চিঠি পাঠিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের গুরু সেবানন্দকে ধর্মপ্রচারে নিষেধ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এবি সিদ্দিক নামের জনৈক ব্যক্তির তরফে ওই হুমকি আসার পর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে এসে জানতে পারে মুলত আইএস নয়, ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণেই এভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এবি সিদ্দিকের হাতের লেখা পরীক্ষা করে চিঠির লেখার সঙ্গে না মেলায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই ঘটনার পর আবু বকর সিদ্দিকি সাংবাদিকদের জানান, তিনি ১৮ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছি। ২০০৪ সালে অবসরে যাই। এরপর ব্যবসা করা শুরু করেন। তাকে হয়রানি করার জন্য কেউ তার নাম ঠিকানা ব্যবহার করতে পারে। চিঠির ওপরের অংশে কম্পিউটার টাইপের মাধ্যমে ‘ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ, চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাঁও মার্কেট, গাজীপুর মহানগর’ লেখা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement