—ফাইল চিত্র।
তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইস্তাহারে স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকারদের বিচার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের দলীয় ইস্তাহারে বিষয়টি নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। আবার বিএনপির অন্যতম শরিক জামাতে ইসলামির নেতারা হুমকি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে তাঁরা ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ সকলেরই বিচার করবেন।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে জামাতে ইসলামির নেতারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে রাজাকার, আল বদর, আল শামস নামে নানা সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতাপন্থীদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত গড়ে গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরের দায়ে সেই সব রাজাকার নেতাদের বিচার শুরু করেছেন। জামাত-বিএনপির এক ঝাঁক নেতাকে সেই আদালত দণ্ড দিয়েছে।
বিএনপির নতুন জোটসঙ্গী কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকির মতো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নামী মুক্তিযোদ্ধা হলেও একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে জামাতের প্রার্থীরাও। রাজাকার ও তাদের পরিবারের এক দলকে এ বারেও প্রার্থী করেছে জামাত। ঐক্যফ্রন্টের ইস্তাহারে তাই রাজাকার নেতাদের বিচার চালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও নিজেদের ইস্তাহারে তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি বিএনপি। আওয়ামি লিগের পক্ষে অবশ্য ঐক্যফ্রন্টের এই ঘোষণাকে ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। দলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তারা এক হয়ে ভোটে লড়ছে। একই প্রতীক ‘ধানের শিস’ তাদের। তারাই আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে বলছে। এটা হাস্যকর!’’ আবার, জামাতে ইসলামির নেতা মৌলানা হাবিবুর রহমান হুমকি দিয়েছেন, ‘‘বিচার আমরাও করব। তবে যারা মানবাধিকার ভেঙেছে, সবার।’’
মঙ্গলবার শেখ হাসিনা আওয়ামি লিগের যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, তার নাম দেওয়া হয়েছে— ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও
মাদকের বিরুদ্ধে আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।