জামাত প্রার্থীদের দলীয় স্বীকৃতি দিল বিএনপি

একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া জামাতে ইসলামির প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রার্থী বলেই ঘোষণা করল বিএনপি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২২
Share:

একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া জামাতে ইসলামির প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রার্থী বলেই ঘোষণা করল বিএনপি।

Advertisement

মৌলবাদী জামাতে ইসলামির সঙ্গে জঙ্গি সংস্রবের হাজারো অভিযোগ রয়েছে। অসমের আলফার জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র পাঠানোর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জঙ্গি নেতা পরেশ বরুয়ার সঙ্গে প্রাণদণ্ড হয়েছে জামাতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামিরও। স্বাধীনতার বিরোধিতা ও জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকৃতির কারণে দলটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে আদালত। ফলে নিজেদের ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না জামাতের প্রার্থীরা। এর ফলে শরিক দল বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শিষ’ নিয়েই ২৫টি আসনে লড়ছে জামাত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির মন্তব্য করেছেন, ‘‘কেউ জামাত নয়, বিএনপির প্রতীক নিয়ে যাঁরা লড়ছেন, তাঁরা সবাই বিএনপি।’’

একাত্তরে মানবতা-বিরোধী অপরাধের জন্য দণ্ডিত কুখ্যাত রাজাকার নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদি-র ছেলে-সহ এক ঝাঁক বিতর্কিত মৌলবাদী নেতাকে প্রার্থী করেছে জামাত। বিএনপি মহাসচিব তাঁদের সকলকে দলীয় তকমা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে— ভাবমূর্তি বাড়াতে কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকি, আ স ম আব্দুর রবের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের সঙ্গে তারা যে জোট বেঁধেছে, তা কি নেহাতই লোক দেখানো?

Advertisement

এর মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেস একটি প্রস্তাব পাশ করে জামাতে ইসলামি ও হেফাজতে ইসলামির মতো কট্টর মৌলবাদী সংগঠনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করে দিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জামাত-হেফাজতের মতো মৌলবাদীরা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। নির্বাচনের সময়ে তারা হিংসা ছড়াতে পারে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘ওঁরা এই সব বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য ওঁদের যে ভূমিকা রাখা উচিত, সেটা তাঁরা রাখছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement