চট্টগ্রাম বন্দর।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিবহণ নিয়ে দিল্লির সঙ্গে একটি চুক্তির খসড়া সোমবার অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা। গ্যাট নীতিমালা মেনে পণ্য পরিবহণের জন্য ভারতের কাছ থেকে শুল্ক বা কর ছাড়াও বন্দর উন্নয়নের মাসুল এবং পরিবহণ খরচ নেবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বা মংলা বন্দর থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি সংলগ্ন চারটি চেকপোস্ট পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য পরিবহণ করা হবে বাংলাদেশি ট্রাকে।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সড়ক যোগাযোগের সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর ও ভূখণ্ড ব্যবহার করে এই অঞ্চলে পণ্য পরিবহণের জন্য দিল্লি বরাবর ঢাকার কাছে দরবার করে এসেছে। বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে দু’দেশের চুক্তিতে অনুমোদন দেওয়ার পরে এ বিষয়ে জট অনেকটাই খুলল। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সচিব মহম্মদ শফিউল আলম এ দিন জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তি করছে। নেপাল ও ভুটানও তাদের দেশে পণ্য নিয়ে যাওয়ার এই সুযোগ নিতে পারে।
বিরোধী দল বিএনপি ভারতের পণ্য পরিবহণে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহারের ঘোর বিরোধী। সচিব ব্যাখ্যা দেন, এ’টি ট্রানজিট নয়। কারণ বাংলাদেশের ট্রাকেই এই পণ্য পরিবহণ করা হবে এবং তার জন্য ভারতের কাছ থেকে পরিবহণ খরচ ছাড়া কর ও শুল্কও নেওয়া হবে। আপাতত ৫ বছর চুক্তির মেয়াদ থাকছে। ৬ মাসের নোটিসে যে কোনও দেশ তা খারিজ করতে পারবে।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে আগরতলা-আখাউড়া, ডাউকি-তামাবিল, সুতারকান্দি-শেওলা এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে ভারতীয় ট্রাকে সেই পণ্য যাবে গন্তব্যে।