ভোটের প্রচার শুরু হলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্ষন্ত মাঠে থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ। তারা চলে গেলেও যাতে নির্বাচন হয়, তাই তাদের ‘কৌশল রচনা করতে হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ড পাওয়া নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে ভোটে অংশ না-নেওয়ার ঘোষণা করে বিএনপি। পরে কর্মীদের চাপে তারা ভোটে লড়ার ঘোষণা করলেও প্রথম দিন থেকে বলে আসছে, সমান সুযোগ না পেলে যে কোনও সময়ে ভোট বয়কট করবে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তারা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি বিএনপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেছে, বিনা লড়াইয়ে সরকারে ফিরতে শেখ হাসিনার দল তাদের ভোট বয়কটের পথে যেতে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘‘আমরা তাদের সরিয়ে দেব কেন? প্রথম থেকেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। আপাতত নির্বাচনে অংশ নিলেও যে কোনও সময়ে তারা সরে যেতে পারে। তাদের লক্ষ্য শেষ মুহূর্তে বয়কটের পথে গিয়ে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।’’ কাদের জানান, বিএনপি ও তাদের শরিকেরা শেষ মুহূর্তে সরে গিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ বুনতে পারে। সেটা আটকাতে তাঁরাও কৌশল তৈরি করে রেখেছেন।
কী সেই কৌশল? কাদের বলেন, ‘‘হিসেব করেই শরিক দলগুলির প্রার্থীদের তাদের প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এটা জেনেবুঝেই করেছি।’’ শরিকদের মধ্যে একমাত্র হুসেইন মহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিই তাদের ‘লাঙল’ প্রতীকে লড়ছে। জোটের হয়ে ২৬টি আসন ছাড়া প্রায় দেড়শোটি আসনে তারা জোটের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি শরিকেরা জোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামি লিগের ‘নৌকা’
প্রতীক নিয়েছে। নিজেদের প্রতীকেও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। কাদেরের ইঙ্গিত, বিএনপি ও তাদের শরিকেরা সরে গেলেও এই প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন হবে।
প্রশ্ন উঠেছে, সে ক্ষেত্রে এরশাদের দল কি ফের বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে? কাদের বলেন, ‘‘কৌশলের সব এখনই বলা যাবে না। তবে বিএনপি চায় ভোট ভেস্তে যাক। আমরা চাই সব দলের সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তা হোক।
মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিক।’’