কারখানায় আগুনের কুণ্ডলী। নিজস্ব চিত্র।
ঢাকার পাশেই গাজিপুরের টঙ্গি বিসিক শিল্পনগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক। এঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
আজ, শনিবার সকাল ছ’টা নাগাদ এই বিস্ফোরণের পর কারখানায় আগুনও ধরে যায়। কারখানাটিতে ফয়েল পেপার ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুনে পাঁচতলা বাড়িটির ওপরের তিনটি তলার অনেকটাই ধসে গেছে। অনেকটা অংশ জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে জয়দেবপুর, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, সদর দফতর, মিরপুর এবং উত্তরা-সহ আশে-পাশের ফায়ার স্টেশনের ২৩টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানান জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রফিকুজ্জামান।
ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশকেই নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গী হাসপাতালে। এখানে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বা ভর্তির পর মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। মৃতেরা হলেন সুভাষ চন্দ্র, ইদ্রিস আলি, আল মামুন, নয়ন মিয়া, মামুন, মহঃ জয়নুল, আনোয়ার হোসেন, রফিক, মহঃ হোসেন (৩০), গোপাল দাস (২৫), এনামুল হক (৩৫) ও রেদওয়ান। এঁরা সকলেই কারখানার শ্রমিক। এছাড়াও মারা গেছেন মহঃ রাশেদ (স্থানীয় রিকশাচালক), হান্নান (নিরাপত্তাকর্মী), জাহাঙ্গির (নিরাপত্তাকর্মী), রাজেশ (সাফাইকর্মী) ও শংকর (সাফাইকর্মী)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা হলেন ওহিদুজ্জামান (৪০), দেলওয়ার হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেন (২৫) এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতী। অগ্নিদগ্ধ আরও ১৫ জন সেখানে চিকিৎসাধীন।
অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। আহতদের চিকিত্সার দায়িত্বও সরকারের। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আহতদেরও। কারখানাটির মালিক সিলেটের প্রাক্তন বিএনপি সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেনও হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন...
ইদের টানা ছুটিতে চেনা ঢাকা এখন অচেনা
ছবি সৌজন্যে: বাংলা ট্রিবিউন।