বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: সংগ্রহ।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বুধবার এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আবদুল মোমেন বলেন, “ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নকে আমরা সব সময়েই প্রাধান্য দিই। এ ক্ষেত্রে যদি সে সব বিষয়ে নিশ্চয়তা থাকে, তা হলে আমরা স্বাগত জানাই।”
পাকিস্তান-সহ বেশ কিছু দেশ কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। এ ব্যাপারে আবদুল মোমেন বলেন, “অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। অনেক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে বিবাদ চলছে এবং অনেক বিদ্রোহও হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সব সময় চায় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। সুতরাং যে ভাবেই হোক সে ইচ্ছার প্রতিফলন যদি ঘটে তা হলে ভাল।”
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই সিবিআইয়ের জেরা, দুপুরে আদালতে তোলা হতে পারে চিদম্বরমকে
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন সার্ক মূলত অকার্যকর। সে ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমস্যা মেটানোর জন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম দেখা যাচ্ছে না। এ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কি তা হলে অভ্যন্তরীণ ভাবেই মেটাতে হবে? বিদেশমন্ত্রীর মত, বাংলাদেশ মনে করে প্রত্যেকটি দেশের নির্বাচিত সরকারই এ ব্যাপারে দায়বদ্ধ। তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তারা সমাধান করবে।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই বিজেপিতে দেবশ্রী, আপত্তি নেই শোভনেরও? জল্পনায় অন্তরালের পথে বৈশাখী
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ সফরে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করে আগামী অক্টোবরে দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিঠি তুলে দেন। বুধবার সকালে ভারতে ফিরেছেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্করের বাংলাদেশ সফরের পর বুধবার বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি দেশেই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। বাংলাদেশ মনে করে ৩৭০ ধারা রদ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সব সময়ই নীতিগত ভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ একই সঙ্গে মনে করে যে, সব দেশেরই উচিত উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া।