অসহায়: নৌকাডুবির পরে মৃত সন্তানের দেহ আঁকড়ে বাবা। বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর কাছে। ছবি: এএফপি
ভিটেমাটি ছেড়ে জলপথে ভিন্ দেশে ঢুকতে গিয়ে প্রায়শই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবুও বিপদ মাথায় করেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। রবিবার রাত দশটা নাগাদ ফের বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমান্তবর্তী নাফ নদী পেরিয়ে আসতে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা উল্টে যায়। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। মৃতদের মধ্যে দশ জনই শিশু।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিয়ে হাতে হাত দিল্লি, ঢাকার
উপকূলরক্ষী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসাররা জানিয়েছেন, ওই নৌকাটিতে একশোরও বেশি মানুষ ছিলেন। সারা রাত ধরে উদ্ধার কাজ চালিয়ে ১২ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দশ জন শিশু ছাড়াও এক বয়স্ক মহিলা এবং আর এক জন পুরুষের দেহ মিলেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক কম্যান্ডার আলাউদ্দিন নায়ান বলেছেন, রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা ছিলেন ওই নৌকায়। বাকি সবই শিশু।
নৌকাডুবি হওয়ার পরে অনেকে আবার সাঁতরে রাখাইন প্রদেশের উপকূলের দিকেও ফিরে গিয়েছেন বলে দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসার আব্দুল জলিলের। খারাপ আবহাওয়ায় নদী ছিল উত্তাল। তাতেই শরণার্থী-বোঝাই নৌকা ডুবে যায় বলে জানান তিনি। নাফ নদী পেরোতে গিয়ে এমন নৌকাডুবি একের পর এক হয়েই চলেছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এমন ঘটনায় অন্তত ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে একটি সূত্রে দাবি। সেনা অত্যাচারে অতিষ্ঠ রোহিঙ্গারা প্রতি বারই দেশ ছাড়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভিড় অগ্রাহ্য করে উঠে পড়ছেন মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকায়। তার পরেই ঘটছে এমন বিপত্তি।