ছবি: সংগৃহীত।
শীত রয়েছে, রয়েছে কুয়াশার চাদর। পাশাপাশি রয়েছে নাগরিক ব্যস্ততাও। এ সব কিছুর তোয়াক্কা না করেই সুর-তালে মেতে উঠতে হাজারো মানুষ হাজির হয়েছেন ধানমন্ডিতে আয়োজিত বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উত্সবে। ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে পাঁচ দিন ধরে চলবে এই উত্সব।
ঢাকাবাসীরা বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন এই উত্সবের জন্য। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল মঙ্গলবার। এই দিন সন্ধ্যা ৭টায় পর্দা উঠল সেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উত্সবের।
গত ৫ বছরে এই উত্সব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রধান মিলনমেলা। বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্বরা এই উত্সবে হাজির হয়েছেন। তাদেঁর সুর ও সঙ্গীতকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে তাই শীতকেও উপেক্ষা করে হাজার শ্রোতায় ভরে উঠেছে আবাহনী মাঠ।
উদ্বোধনী পর্বে ড. এল সুব্রামানিয়াম বেহালায় আভোগী রাগ পরিবেশন করেন। তাঁর সঙ্গে মৃদঙ্গে সঙ্গত করেন শ্রী রামামূর্তি ধুলিপালা, তবলায় পণ্ডিত তন্ময় বোস এবং মোরসিং-এ ছিলেন সত্য সাই ঘণ্টশালা।
আরও পড়ুন: উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর ধানমন্ডিতে
এ দিন রাত ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব ২০১৭’। গত ৫ বছর ধরে আয়োজিত উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় পরিধির এই আয়োজন এ বছর উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলা ভাষার বরেণ্য শিক্ষাবিদ এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে।
ড. এল সুব্রামানিয়ামের পর অর্কেস্ট্রার আয়োজন নিয়ে আসেন আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক। তারা সিলেস কাজগালিবের সিম্ফোনির কিছুটা পরিবেশনের পর বিশ্বখ্যাত চাইকভস্কির ‘সোয়ান লেক’ শুরু করেন। মাঠভর্তি দর্শক তখন সেই সুরের মূর্ছনায় ভেসে। অর্কেস্ট্রার পরিচালনায় ছিলেন বেরিক বাত্যরখান।
আরও পড়ুন: ‘ভবিষ্যতে সুরক্ষা দিতে পারে রয়্যালটি’
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ছিলেন বাংলাদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, স্কোয়্যার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব আবুল খায়ের।
উৎসবের প্রথম রাতে থাকছেন সরোদ শিল্পী রাজরূপা চৌধুরী, খেয়ালে বিদূষী পদ্মা তালওয়ালকর, সেতারবাদক ফিরোজ খান, সুপ্রিয়া দাসের খেয়াল, রাকেশ চৌরাসিয়ার বাঁশি এবং পূর্বায়ণ চ্যাটার্জির সেতার।