ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরা জেএমবি পরিচালিত লুটেরা বাহিনীর সদস্য ছিল বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।
অস্ত্র কেনা এবং কারাবন্দি নেতাদের মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য এই জেএমবি সদস্যেরা ডাকাতি করত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সোমবার রাতে তেজগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সদর দফতরের সহায়তায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এই অভিযান চালায়।’’
মনিরুল জানান, চলতি বছরের জুন মাসে বনানী ও অক্টোবরে তেজগাঁও থানা এলাকায় দু’টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই দু’টি ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘গ্রেফতার হওয়া সাত জন জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য।’’ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছে, বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তারা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার-সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করত। বিশেষ করে অস্ত্র কেনা এবং কারাগারে থাকা নেতাদের জামিনে বা ছিনিয়ে মুক্ত করতে তারা অর্থ জোগাড় করছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সাত জনের নাম মো. জুয়েল সরকার ওরফে সোহরাব ওরফে সরকার (৩২), মো. রাশেদ ২৭), মো. সেন্টু হাওলাদার ওরফে জাহিদ (২৬), নাজমুল হাসান ওরফে নয়ন ওরফে নরেশ (২৩), মো. আবদুল বাসেদ (২২), মো. কাসেম ওরফে কাওসার ওরফে কাসু (২০) ও মো. আবু বকর সিদ্দিক ওরফে শুভ্র ওরফে আকাশ (২০)। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৬৭ ভরি সোনা, ৪টি পিস্তল, ৫টি ম্যাগাজিন, ১০টি গুলি, ৯টি চাপাতি, ২টি রামদা, ৮ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ৩ প্যাকেট রাসায়নিক পাউডার, নগদ প্রায় ৬ লাখ টাকা, ১০টি মোবাইল, ২টি টিভি, ৪টি ক্যামেরা, ২টি ল্যাপটপ, ১টি মোটরসাইকেল ও সোনা মাপার ৪টি যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিন পর্যন্ত টিকতে পারেনি, বাংলাদেশের ভরসাতেই পোশাক শিল্পে হাইতি