র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারত সীমান্তে খতম তিন বাংলাদেশি জঙ্গি।
ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের পর এ পারে সতর্কতা জারি করেছে বিএসএফ।
বিএসএফের ৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আওতায় থাকা লালগোলার খাদুয়া বিওপি-র উল্টো দিকেই পদ্মাপাড় লাগোয়া বাংলাদেশের উপজেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জের চর আলাতুলি। বুধবার সকাল থেকেই সেখানে অভিযানে নামে পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার ভোরে এখানেই র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি।
আরও পড়ুন:
জামাত নেতা আজিজ মিয়া-সহ ছ’জনের মৃত্যুদণ্ড
র্যাবের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় কয়েক হাজার বসতি রয়েছে। বাইরে থেকে কোনও জঙ্গি এসে এখানে ঘাঁটি গেড়েছে কি না অথবা কোথাও গোলাবারুদ মজুত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকাবাসীকে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপারে সতর্ক করার কাজও চলছে।
সীমান্তের ওই এলাকা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চোরাচালানের স্বর্গ ও জামাতে ইসলামির ঘাঁটি বলে পরিচিত। বেশ কয়েক মাস এই চরে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন (জেএমবি)আস্তানা গড়ে তুলেছে বলে খবর। র্যাব জানিয়েছে, এখানে তৈরি বোমা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত জঙ্গিরা।
গ্রাফিক্স: সৌভিক দেবনাথ।
এর আগে গ্রেফতার হওয়া কয়েক জন জঙ্গির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কিছু দিন ধরেই ওই চরে নজরদারি চালাচ্ছিল র্যাব। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন, কয়েক জন জঙ্গি চরে একটি অস্থায়ী বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছে। এই খবর পেয়ে মঙ্গলবার ওই এলাকা ঘিরে ফেলে র্যাব। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়। জবাবে তারা গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে। র্যাবের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীন বিস্ফোরণে বাঁশ ও টিনের তৈরি ওই বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালিয়ে তিন জন পুরুষের দেহাংশ উদ্ধার করে বাংলাদেশের বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াড। নিহতেরা জেএমবি-র সদস্য বলে মনে করছে র্যাব। তবে তাদের সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
বিএসএফও জানিয়েছে, ওই বাড়িটি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক, অস্ত্র ও বোমার মশলা উদ্ধার করা হয়েছে বলে তাদের কাছে খবর আছে। এর পরেই তৎপর হয় তারা। সীমান্ত জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়।