১. সামনে পুজো। বেশ কয়েক দিন লম্বা ছুটি পাওয়া যাবে। পুজোতে ঘোরার আনন্দ তো থাকছেই। তবে অন্য রকম কিছু করতে চান?
২. প্রতি বছরই ঠাকুর দেখতে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হুল্লোড় করেন। এবার সেই ছক ভেঙে নয় বেরিয়ে আসুন! কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে, বলা ভাল এই বাংলা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন রোমাঞ্চকর অভিযান বা ক্রীড়ার জায়গা!
৩. ভিন্ন রকম ভাবে পুজো কাটানোর ইচ্ছা হলে এই জায়গাগুলিতে গিয়ে এক-দুই দিন কাটিয়ে আসতেই পারেন। কী কী আপনি করতে পারেন তার তালিকা থাকল নীচে।
৪.স্নরকেলিং- শহর কলকাতা থেকে একদম কাছেই তাজপুর সমুদ্র সৈকত। এই সৈকত মন্দারমনি বা অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের মতো জনবহুল নয়। স্নরকেলিংয়ের জন্য এটি আদর্শ স্থান। এখানে আপনি অক্সিজেন মাক্স, সাঁতারের পোশাক পরে জলের নীচে ডুব দিতেই পারেন। এখানে আপনার ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা খরচা হতে পারে।
৫. মাউন্টেন বাইকিং- কখনও ভাবতে পেরেছিলেন কলকাতার কাছাকাছি মাউন্টেন বাইকিং করতে পারবেন। পুরুলিয়ার পাঞ্চেত এলাকায় আপনি এই সুযোগ পেয়ে যাবেন। কলকাতা থেকে মাত্র ৫ ঘন্টা দূরে গিয়ে এই জায়গা। আপনি দুঃসাহসিক কাজ করতে পছন্দ করলে এটি আপনার জন্য অন্যতম সেরা জায়গা হয়ে উঠবে।
৬.প্যারাগ্লাইডিং এবং প্যারাসেলিং- এই অ্যাডভেঞ্চার পোস্টটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। কলকাতা থেকে মাত্র ১২০ দূরে মন্দারমণির সৈকতে আপনি এই সুযোগ পেতে পারেন। আর শুধু যদি প্যারাগ্লাইডিং-এর স্বাদ উপভোগ করতে চান তাহলে দার্জিলিঙ হবে আপনার সেরা গন্তব্য। মন্দারমনিতে প্যারাসেলিং করতে এক জনের খরচা পড়বে ১ হাজার টাকা। দার্জিলিঙে প্যারাগ্লাইডিং করতে খরচা পড়বে ৩হাজার ৫০০ টাকা।
৭.কায়াকিং- পুজোর শুরুতে একদম কম সময়ের জন্য যদি আপনি করতে কায়াকিং তা হলে আপনার জন্য সেরা জায়গা কলকাতার ইকো পার্ক। সূর্যাস্তের সময় কায়াকিং করার মজা সব থেকে বেশি। তাই সময়টা তেমন বেছে নিলে মজা বেশি পাবেন। ইকো পার্কে ৩০ মিনিটের জন্য একজনের কায়াকিং করতে খরচা ১৫০টাকা।
৮.ক্যাম্পিং- ক্যাম্পিং পর্যটকদের কাছে সবথেকে জনপ্রিয় একটি বিষয়। পাহাড়ের কোল হোক কিংবা গভীর জঙ্গল বা নদীর ধারে ক্যাম্পিং করার স্বাদ আলাদা। এই জন্য আপনি যেতে পারেন সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানে। এই জায়গাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকাভুক্ত। স্থানটির সবুজ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যাম্পিং করার জন্য আদর্শ বলে মানেন পর্যটকরা।
৯. রিভার র্যাফটিং- উত্তর বাংলা তিস্তা নদীর উপরে এই ব্যাপারটির খুবই জনপ্রিয়। খরস্রোতা নদীর জলে র্যাফটিঙের স্বাদ অনবদ্য।
১০. জঙ্গলের ট্রেকিং- পশ্চিম বাংলায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সহজ পথে বহু ট্রেকিং বহু দিন ধরে বেশ জনপ্রিয়। চান তো এমন পথে পা বাড়াতেই পারেন, এই পুজোতেই।
১১. সৈকতের পাশে ট্রেকিং- একটি সমুদ্রকে পাশে রেখে দীর্ঘ পথ হাঁটা! মাঝে অসংখ্য গাঁ-গঞ্জ। সেখানে রাত্রিবাস। এক এক জায়গায় এক এক রকমের অভিজ্ঞতা। মানুষজন থেকে খানাপিনা থেকে স্থানীয় সংস্কৃতি! এই পুজো স্বাদ নিতে পারেন তার। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।