পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভূত নিয়ে নানা লোককথা ছড়িয়ে রয়েছে। কেউ ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাসী, কেউ নন। কিন্তু যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের পক্ষে দাঁড়ানো সবচেয়ে পাকা প্রমাণটা কে দিয়েছে জানেন?
ইংল্যান্ডের নরফোক এলাকার রেনহ্যাম হল। কারণ এই বাড়িতেই নাকি তোলা হয়েছিল ভূতের ছবি। ভূত চতুর্দশীর রাতে আপনার বাড়িতেও যদি ভূতেদের ছবি তুলতে চান, তা হলে এই গল্পটিপড়ে নিন।
নরফোকের এই বিশাল ম্যানশনে নাকি এক সময়ে এক দম্পতি বাস করত। মহিলা মোটেই তাঁর বিয়ে নিয়ে খুশি ছিলেন না। ফলে তিনি অন্য মানুষের মধ্যে নিজের প্রেম খুঁজে নেন। সেই প্রেমের কথা কিছু দিনের মধ্যেই জানাজানি হয়ে যায়। ফলে তাঁকে পড়তে হয় বিপদে।
কেউ বলেন মহিলার স্বামী, কেউ আবার বলেন, তাঁর প্রেমিকের স্ত্রী— তাঁকে নাকি একটা ঘরে বন্ধ করে রেখে দেন। ১৭২৬ সালে সেই ঘরেই তিনি মারা যান।
ঘর থেকে বেরোতে না পেরে তিনি মারা গেলেও, তাঁর আত্মা যে সেই ঘর থেকে বেরোতে পারবে না— তা তো নয়। তাই মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর আত্মা নাকি এই বাড়ির নানা অংশে ঘুরে বেড়ায়। অনেকেরই নাকি চোখে পড়েছে সেই দৃশ্য।
এমনই তার প্রমাণ পেতে ক্যামেরাও বসানো হয়েছিল এই বাড়িতে। সেখানেই এক বার নাকি দেখা যায়, সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে অবয়বহীন লম্বাটে ধোঁয়ার পিণ্ড। পরে দাবি করা হয়, সেটিই ওই ভূত।
অনেকেরই দাবি, মৃতার আত্মাকে তাঁরা বাদামি পোশাকে দেখেছেন। আর সেখান থেকেই এই নামকরণ। ‘ব্রাউন লেডি’।
বর্তমানে এই ব্রাউন লেডির গল্প সারা দেশে তো বটেই গোটা পৃথিবীর ভূত-প্রেমীদের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে।