প্রতীকী চিত্র
হাওড়া জেলার সীমান্তে আমতা ২ নম্বর ব্লক ও জয়পুর থানা। এই এলাকার মধ্যেই খেলনা গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটি দুর্গা ও কালীপুজো আয়োজিত হয় সেখানে। কিন্তু এই এলাকা কীসের জন্য বিখ্যাত জানেন? লক্ষ্মীপুজো! সারা গ্রাম জুড়ে বিপুল ভাবে আয়োজন করা হয় লক্ষ্মীপুজোর। এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সব পুজোর থেকে বিখ্যাত কোজাগরীর আরাধনা।
সরকারি হিসেবে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫টি বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। খেলনা গ্রামের উপপ্রধান জানাচ্ছেন, সরকারি খাতায় সব পুজোর হিসেব নেই। কিন্তু ওই গ্রামে একশোরও বেশি লক্ষ্মীপুজো হয়। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো।
এখানকার বিভিন্ন বারোয়ারি ক্লাব লক্ষ্মীপুজোয় শহরের দুর্গাপুজোর মতোই থিম পুজো করেন। কখনও জঙ্গল, কখনও সমুদ্র, কখনও বা পাহাড়– হরেক থিমে সেজে ওঠে মা লক্ষ্মীর আরাধনার মণ্ডপ। সারা গ্রামের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন।
‘খেলনা’ গ্রামটি আমতা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক জানান, খেলনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। তার সুবন্দোবস্ত করতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় পুলিশ ও প্রশাসনকে। পুলিশ ক্যাম্প ছাড়াও থাকে মেডিক্যাল টিম।
মাঝে আর মোটে দু’দিন। তার পরেই শহরের দুর্গাপুজোর মতো খেলনা গ্রামের মানুষ মেতে উঠবেন লক্ষ্মীপুজোর জমাটি আয়োজনে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।