পুজো এগিয়ে আসছে। রাস্তায় যানজট বাড়তে শুরু করল বলে! ট্রেনেও ভিড় বাড়বে। শিয়ালদহ থেকে যে কোনও লোকাল ট্রেনের ভিড় সামলাতে কী ব্যবস্থা নেবে রেল? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
তার আগে দেখে নেওয়া যাক, কেমন হয়, এই ভিড়ের ছবিটি?
গাদাগাদি ভিড়। সবাই একে অপরের কাঁধে নিশ্বাস ফেলছেন। দমবন্ধ অবস্থা। বাইরে লোক ঝুলছে। কেউ চিৎকার করে ওঠেন, ‘দাদা একটু ভিতরে ঢুকুন।’ আবার কারও অনুযোগ, ‘কনুইটা দেখে।’ রাগের স্বরে কারও বক্তব্য, ‘তোকে বলছিলাম, এই ভিড়ে না আসতে। অন্য দিন দেখলেই হত।’ স্টেশনে যত দূর চোখ যায় শুধু কালো কালো মাথা। প্রত্যেক বছর পুজোর সময় শিয়ালদহ থেকে যে কোনও দিকের ট্রেনে এই ভয়ঙ্কর চিত্র দেখা যায়।
প্রায় প্রতিবার রেলের তরফ থেকে কিছু বিশেষ ট্রেন দেওয়া হয় ঠিকই। তাতে খুব বেশি সুরাহা হয় বলে মনে করেন না যাত্রীরা। দেখেও তা মনে হয় না। তবে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘নেই মামার থেকে, কানা মামা ভাল।’ তাই ট্রেন গুলির গুরুত্ব বোঝা না গেলেও কিছুটা সুবিধা হয় মানতেই হবে।
এখন পুজোর বহর অনেকটাই বেড়েছে। শুধু কলকাতাতে ভাল পুজো হয় এই রকম ব্যাপার আর নেই। অনেক জেলার শহরের পুজোও নজর কাড়ে রাজ্যবাসীর। প্রচুর সংখ্যায় লোক যেমন জেলা থেকে কলকাতায় আসেন। কলকাতার অনেকেই জেলার পুজো দেখতে যান। ফলে ভিড়ও প্রচুর হয়।
সরকারি সূত্রে শোনা গেল, চাপ কমাতে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন থেকে এই বছরও পুজোর সময় বিভিন্ন শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পুজোর সময় প্রতিবারের মতো এই বারেও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে একটা পরিকল্পনা আমরা করেছি। আর কিছু দিনের মধ্যে কোথায় কত ট্রেন দেওয়া হল জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।