বাড়ির পুজো হোক বা মন্দিরের, পুজোর সময়ে থালা সাজিয়ে ফল ও মিষ্টি প্রসাদ দিয়ে দেব-দেবীকে তুষ্ট করা নতুন কিছু নয়। হিন্দু শাস্ত্র মতে আবার বিভিন্ন দেবদেবীর নিজস্ব প্রিয় ফল ও মিষ্টি আছে। তাই তাঁদের তুষ্ট করতে মানুষ সেই সব ফল-মিষ্টি দিয়েই তাঁদের পুজো দিয়ে থাকেন।
কিন্তু কখনও কি শুনেছেন দেব-দেবীকে নৈবেদ্য হিসাবে সুরা দিয়ে পুজো দেওয়ার কথা ? অবাক হলেন? অবাক হওয়ারই কথা। তবে ভারতে সত্যিই এমন কিছু মন্দির আছে, যেখানে দেব-দেবীকে তুষ্ট করতে নিবেদন করা হয় সুরা।
কালভৈরব মন্দির, উজ্জয়িনী: আনুমানিক ৬০০০ বছরের এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালভৈরবকে সুরা নিবেদন করা হয় পুজোর নৈবেদ্য হিসাবে। ভক্তদের বিশ্বাস, তিনি এই সুরা পান করেন। এবং তার অবশিষ্টাংশ ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়।
কালীমাতা মন্দির, দিল্লি: এই মন্দিরে দেবী কালীকে বিভিন্ন প্রকারের দেশি ও বিদেশি সুরা নিবেদন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে দেবী খুবই তুষ্ট হন। এই সুরা পরে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
তারাপীঠ, পশ্চিমবঙ্গ: এ রাজ্যে এই মন্দিরটি তন্ত্রসাধনার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও শক্তিপীঠ হিসাবে পরিচিত। এখানে বহু সাধক সাধনা করে মোক্ষ লাভ করেছেন। এখানে প্রতিষ্ঠিত দেবী তারা-কে অন্যান্য প্রসাদের সাথে সুরা নিবেদন করা হয়।
পাটিয়ালা কালী মন্দির, পঞ্জাব: মহারাজা ভূপিন্দর সিং পাটিয়ালার হাতে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে ভক্তরা তাঁদের ইচ্ছা পূরণ হলে সুরা, ছাগলের মাংস, মুরগির মাংস এবং নারকেল-সহ অন্যান্য প্রসাদ নিবেদন করেন।
খাবিস বাবা মন্দির, লখনউ: খাবিস বাবা ছিলেন এক সাধক, যাঁর প্রিয় পানীয় ছিল সুরা। এখনও ভক্তরা এই খাবিস বাবা মন্দিরে সুরা প্রসাদ নিবেদন করেন।
ভাওয়াল মাতা মন্দির, রাজস্থান: ১৩৮০ সালে ডাকাতদের তৈরি এই মন্দিরটির রাজস্থানে এক আলাদা মাহাত্ম্য আছে। এখানে দেবীকে দুর্গা হিসাবে পুজো করা হয়। এখানেও তাঁকে রুপার গ্লাসে সুরা নিবেদন করা হয়।
বাবা ভৈরনাথ মন্দির, মুম্বই: এই ভৈরনাথ শিবের একটি অবতার। কার্তিক একাদশীর সময়ে এখানে ভক্তদের ঢল নামে। পূজারীরা মন্দিরে বিভিন্ন সুরার বোতল নিবেদন করেন। সেই সুরা পরে প্রসাদ হিসেবে পান করেন ভক্তরা। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ