ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ- এ বিষয়ে একটা দ্বন্দ্ব বহু যুগ ধরে চলে আসছে| এখনকার যুগে আছে ইন্টারনেট, যাকে ছাড়া আমরা কার্যত অচল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আজ আলোচনা করব এমন কিছু বিষয় নিয়ে, যাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে কোনও রকম অভিশাপের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
প্রথমেই থাক সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- পাসওয়ার্ড। যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তাঁরা জানেন প্রত্যেক মুহূর্তে পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখতে হয়। অতএব এই পাসওয়ার্ড বা চাবি এমন হওয়া উচিত, যাতে কেউ সহজে তা নকল না করতে পারে। যখনই পাসওয়ার্ড সেট করবেন, চেষ্টা করুন তা যেন হয় বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, নম্বর এবং কিছু চিহ্ন মিলিয়ে। এমন কোনও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না, যা সহজেই অনুমান করা যায়।
সম্ভব হলে টু স্টেপ অথেন্টিকেশন যোগ করুন পাসওয়ার্ড সেট করার সময়ে। অর্থাৎ, যাতে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরেও আপনার ফোনে ওটিপি আসে এবং সঠিক ওটিপি দেওয়ার হলে তবেই যেন আপনার প্রোফাইলটা খোলা যায়। তাতে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড পেয়ে গেলেও ওটিপি ছাড়া আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে না।
নিরাপদ কি না নিশ্চিত না হয়ে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না, তা সে আপনার ইমেলে আসুক বা মেসেজে বা কোনও রকম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলি আপনার সমস্ত তথ্য হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
যখনই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন, সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে অবশ্যই VPN ব্যবহার করুন প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার আগে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি সেটিংস-এর উপরে জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দিকে, কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি।
নিয়মিত আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টের দিকে নজর রাখুন। কারণ, সেখানে যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা অনলাইন কেনাকাটা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন আসে। কোনও রকম অসংলগ্ন অ্যাক্টিভিটি নজরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ইমেলের পাসওয়ার্ড বদলে নিন।
ফোন চার্জের জন্য কোথাও কোনও রকম পাবলিক চার্জিং স্টেশন, রেলস্টেশন কিংবা বিমানবন্দরের চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করবেন না। কারণ, অনেক সময়ে এগুলিতে হ্যাকাররা ওত পেতে থাকে। তার থেকেও অনেক সময়ে আপনার ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সুতরাং এই সমস্ত বিষয়গুলি মেনে চলুন। সতর্ক থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।