প্রতীকী ছবি।
মোবাইল ফোন সুরক্ষিত রাখার জন্য আমরা টেম্পারড গ্লাস ব্যবহার করে থাকি৷ কিন্তু, কোন টেম্পারড গ্লাস কতটা উপযুক্ত সে সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন? গ্লাস শক্ত বা মোটা হলে কী বোঝা যায়, সে সম্পর্কেও অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই৷ মনে রাখবেন, কাঠিন্যের ভিত্তিতে টেম্পারড গ্লাসগুলির নম্বর সাধারণত ৬এইচ ও ৯এইচ।
টেম্পারড গ্লাস কেনার আগে সেটি হাত দিয়ে ধরে দেখবেন তা মসৃণ কি না। মনে রাখবেন, যে টেম্পারড গ্লাস যত মসৃণ হবে তার গুণমান তত ভাল হবে। টেম্পারড গ্লাস আসল না নকল তা ধরার জন্য ওয়াটার ড্রপ পরীক্ষা করতে পারেন। টেম্পারড গ্লাসের উপর এক ফোঁটা জল ফেলে গ্লাসটিকে ধীরে ধীরে কাত করুন। জলের ফোঁটা ভেঙে ছড়িয়ে গেলে বুঝবেন সেটি আসল গ্লাস নয়।
টেম্পারড গ্লাস কতটা শক্ত তা বিচার করা হয় ‘পেনসিল স্কেলের’ ভিত্তিতে। পেনসিলের শিস তৈরি হয় গ্রাফাইট দিয়ে। সব পেনসিলের শিস একইরকম কঠিন নয়। অর্থাৎ বিভিন্ন পেনসিলের শিসের কাঠিন্য বিভিন্ন। তার ভিত্তিতে পেনসিলের পরিচয় হয়। যেমন, ৮এইচ, ৭এইচ, ৬এইচ ইত্যাদি। এর মধ্যে ৯এইচ পেনসিলের শিস সবচেয়ে বেশি কঠিন এবং ৯বি পেনসিলের শিস সবচেয়ে নরম।
ধরা যাক কোনও বস্তুর তলের কাঠিন্য ৭বি। তার মানে সেই বস্তুটির তলের ৭বি বা তার পরের পেনসিলগুলির শিস (স্কেল অনুসারে ৮বি এবং ৯বি)- এর আঁচড় সহ্য করতে সক্ষম অর্থাৎ সেই পেনসিলগুলি দিয়ে আঁচড় কাটলেও বস্তুর গায়ে দাগ পড়বে না। এই ভাবে কোনও বস্তুর কাঠিন্য মাপা হয়। সাধারণত টেম্পারড গ্লাসের প্যাকেটে লেখা থাকে ৬এইচ। তার মানে ৬এইচ বা স্কেলে তার পর যে পেনসিলগুলি রয়েছে তাদের শিস দিয়ে আঁচড় কাটলেও সেই গ্লাসে দাগ পড়বে না। একটু দামি টেম্পারড গ্লাসে লেখা থাকে ৯এইচ। পেনসিল স্কেল অনুসারে এটাই কোনও বস্তুর কাঠিন্যের সর্বোচ্চ মাপ।
আবার কিছু টেম্পারড গ্লাসের প্যাকেটে লেখা থাকে ১১ডি, ১২ডি, ৯ডি ইত্যাদি। এগুলির মানে কী? এগুলির আসলে কোনও মানেই নেই। কোম্পানিগুলি ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য সেগুলি লেখে।