এখন শিক্ষাজীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল ভার্চুয়াল লার্নিং। আর অফিস-জীবনের অংশ হয়ে গেল, ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এই দুই ক্ষেত্রেই পারস্পরিক মত বিনিময়, বা নিজেদের মধ্যে কথা বলা ও শোনার জন্য অতি অবশ্য দরকার হয়ে পড়েছে একটি হেডফোনের। এবং সেই ধরনের হেডফোন, যেটায় পরিষ্কার শব্দ শোনা যাবে, আর সেই হেডফোনের মাইক্রোফোনের মাধ্যমে অ্ন্য প্রান্তে যিনি থাকবেন, তিনিও যেন সমস্ত কথা পরিষ্কার ভাবে শুনতে পান। আগে আমরা সাধারণত গান শোনার জন্য বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কিছু শোনার জন্য হেডফোন ব্যবহার করতাম। কিন্তু এবারের ব্যবহারের বিষয়টাই আলাদা। আমাদের প্রাত্যহিক কর্মজীবন বা আমাদের সন্তানের অথবা শিক্ষার্থীদের কাছে এই হেডফোন একটি অত্যাবশ্যকীয় বস্তু হয়ে দেখা দিয়েছে। এখানে হেডফোন নেওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ওই হেডফোনটিতে যেন বাইরের শব্দ না ঢোকে, আর সেটি যেন ল্যাপটপ বা ডেস্ক টপ অথবা মোবাইল ফোনের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
একটি হেডফোন কেনার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে ভালো:
১। যদি হেডফোনটি ওয়্যারলেস হয়, তা হলে খুব ভাল হয়। কেন না আপনি প্রয়োজনে এক জায়গায় না বসে, ঘুরে ঘুরে কথা বলতে পারবেন, শুনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হ্যান্ড মিক্সার কিনুন মেটাল বডির হালকা ওজনের
২। কানের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হেডফোনের দিকেই ঝুঁকবেন। না হলে কানের শোনার ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে একটি হেডফোন। আজকের দিনে শখ করে নয়, বাধ্য হয়েই যেহেতু কিনতে হচ্ছে, তাই দামের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে, সঙ্গে ব্র্যান্ড। তবে ভালো ব্র্যান্ডের একটু কম দামের দিকে ঝুঁকলে ভাল হবে।
ওয়্যারলেস হেডফোনের ক্ষেত্রে কতটা দূরত্ব পর্যন্ত এটি কার্যকর, সেটি জানাও জরু্রি।
আরও পড়ুন: দূর থেকেও একাকী বাবা-মায়ের দেখভালে বন্ধু হতে পারে সিসি ক্যামেরা
এই সময়ে একটি ব্লুটুথ সাপোর্ট হেডফোন নিলে ভাল, সেই সঙ্গে হতে হবে হাল্কা। ব্যাটারি একটু দেখে নিতে হবে, একটু বেশি সময়ের নিলে ভাল। অনেকেই স্টিরিও চান, সেটা দেখে নেবেন। মাইক্রোফোনের বিষয়টা মাথায় রাখবেন। প্যাড সমেত হেডফোন নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর ফলে বাইরের কোনও আওয়াজ যেমন ঢুকবে না,তেমনই কানের ক্ষেত্রেও আরামদায়ক হবে। হেড ব্যান্ড দেখে নেবেন। অনেকে আবার এফ এম রেডিও শুনতে ভালবাসেন। এখন প্রায় সব ওয়্যারলেস হেডফোনেই এই ব্যবস্থা আছে। ওয়্যারলেস হেডফোনের ক্ষেত্রে কতটা দূরত্ব পর্যন্ত এটি কার্যকর, সেটি জানাও জরু্রি। ফোল্ডেবল হলে রাখার সুবিধা। এটাও ভাবতে পারেন। এবার মোটামুটি ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে কয়েকটি ব্র্যান্ডের নাম বলা যাক। জ্যাব্রোনিক্স, ড্রামস্টোন বি-৪৬০ ,বোট রকার্জ ৪০০। যাঁরা একটু বেশি বাজেটের দিকে যেতে চান, তাঁরা সোনি, বস সাউন্ড পোর্ট ফ্রি অথবা কোয়াইট কম্ফর্ট, অ্যাপল ইয়ার পড, জেবিএল নিতে পারেন। এগুলি সবই পরীক্ষিত। শোনার ক্ষেত্রে খুব ভাল, সঙ্গে মাইক্রোফোনও ভাল। সব চেয়ে ভাল ব্যাটারি। এছাড়াও এখন বাজারে অনেক ব্র্যান্ড আছে। সেগুলিও পরখ করতে পারেন।