শুধু শহরেই নয়, শহরতলীতেও গরমের দাপটে নাজেহাল সবাই। সেই গরমের হাত থেকে বাঁচতে তাই শরণাপন্ন হতে হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর।একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরে এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদা ও বিক্রি তুঙ্গে উঠেছে। আমাদের শহরে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা পঞ্চাশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই।ফলে চাহিদা যে কী কারণে বেড়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
পুজোর সময়ে একটা বিশেষ ছাড় তো পাওয়াই যায়, উল্টে আর কিছু দিন পর, একটু ঠান্ডা পড়লে পাওয়া যাবে আরও একটু ছাড়। তাই এটাই এয়ার কন্ডিশনার কেনার সেরা সময়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি বেশ কিছু দোকানে ঘুরে সেই চাহিদার কিছুটা হলেও আঁচ পাওয়া গিয়েছে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক, এয়ার কন্ডিশনার যন্ত্রে একে বারে আধুনিক, সাম্প্রতিক কী পরিবর্তন এল। গত দু’বছরে একে একে এসেছে ইনভার্টার প্রযুক্তি।যেটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করছে। এখন আবার ডাবল ইনভার্টার যুক্ত এসি এসেছে বাজারে। তবে একে বারে সাম্প্রতিক যে বিষয়টি যুক্ত হয়েছে সেটি হল, এসি-তে নানা রকম সেন্সরের যুক্ত হওয়া। এর অন্যতম ইমেজ সেন্সর প্রযুক্তি। এর সাহায্যে আপনি ঘরের যে জায়গাতেই থাকুন না কেন, আপনার কাছে সমান ঠান্ডা পৌঁছে দেবে আপনার এসি। এই সেন্সর আপনার প্রত্যেকটি গতি বিধির ওপর নজর রেখে আপনাকে আরাম দেবে। গবেষকরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ায় যন্ত্রের শক্তির যে অপচয় হয়, সেটি আর হবে না। এটিকে মজা করে বলা হচ্ছে,স্মার্ট হিউম্যান সেন্সর।বেশ কিছু এসি আবার বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে একে বারে সমন্বয় রেখে ঘরের ভিতরের ঠান্ডাটাকে রাখছে। ফলে বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে এসে একে বারে চরম ঠান্ডায় ঢুকে পড়ে শরীর খারাপ হওয়ার ভয় নেই। অন্য দিকে এসেছে মোবাইল অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বাড়িতে একটি ইন্টারনেট ও ওয়াই ফাই ব্যবস্থা থাকলেই হল,রিমোটের ঝামেলা থেকে মিলবে মুক্তি।
এখন উইন্ডো এসির চেয়ে স্প্লিট এসির চাহিদা বেশি। তার মধ্যে আবার দেড় টনের চাহিদা বেশি। তাই সেই ধরনের যন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করে নেওয়া যাক। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ঘরের মাপ ও ঘরে কী ধরনের আসবাবপত্র রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কত টনের এসি লাগাবেন।
এলজি ১.৫টন
এতে ডুয়াল কুল কারিগরি রয়েছে। এটি খুব তাড়াতাড়ি ঘরকে ঠান্ডা করে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও করে। ঘরের পরিবেশকেও নানা দূষণ থেকে মুক্ত রাখে। এখন ডিসকাউন্ট দিয়ে বেশ কিছু দোকানে ৪৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনেও ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
দাইকেন ১.৫টন
দাইকেনের এই ফাইভ স্টার ইনভার্টার টেকনোলজির এসিতে আছে নিও সুইং ইনভার্টার কম্প্রেসর। ফলে এটি যেমন নিঃশব্দে ভাল কাজ করে, তেমনই এসির আয়ুও বাড়ায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার।এর সেলফ ডায়গনস্টিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকে বাহবা দিতেই হয়।এটির সঙ্গে আবার রয়েছে একেবারে সাম্প্রতিক ইকো মোড।এটি এখন অনলাইনে কিনলে একটু বেশি ডিসকাউন্ট পাবেন। দাম ৪৯ হাজার ৫০০।
এবার আসা যাক ইমেজ সেন্সর আছে এমন এসির কথায়।
হিতাচি
হিতাচি প্রথম ইমেজ সেন্সর লাগানো এসি বাজারে এনেছে। এটি ১৫০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘরের প্রতিটি মানুষকে চিহ্নিত করে সেই অংশে ঠান্ডা পৌঁছে দেয়, সারা ঘরকে ঠান্ডা করে না। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় বেশি। এটাকে বলে আই সেন্স প্রযুক্তি। একজন মানুষ যখন ঘুমচ্ছেন, তখন তাঁর পক্ষে আরামদায়ক যতটুকু ঠান্ডা থাকা প্রয়োজন, ততটুকুইঠান্ডা সেই অংশটাতেই পৌঁছে দেবে এই এসি। ১.৫ টনের দাম ৫০ হাজারের ওপর হলেও, এখন অনলাইনে ভাল ডিসকাউন্ট মিলতে পারে।
ক্যারিয়ার ইস্টার ইনভার্টার
এটি ১ টনের মডেলেও পাওয়া যায়। ফাইভ স্টার রেটিং পাওয়া এই এসি মাত্র ৯৯৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। দাম সাধ্যের মধ্যেই ৩৩ হাজার ৫০০র মধ্যে ডিসকাউন্ট দিয়ে।