প্রতীকী ছবি
কালীপুজোয় ঠাকুর দেখা মানেই দেদার খাওয়াদাওয়া! তার সঙ্গেই বিরামহীন হাঁটতে থাকায় ক্লান্ত শরীরে প্রচন্ড তৃষ্ণা। আর তার জেরে যে কোনও জায়গায় জল জোগাড় করে সেই তেষ্টা মেটানো। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ভাবে পুজোর সময়ে বিশেষত জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। সদ্য কোভিডে জেরবার হওয়া বাঙালিকে তাই সচেতন থাকতে হবে বাইরে জল খাওয়ার ব্যাপারে। তা না হলে ভুগতে হতে পারে কলেরা, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড জাতীয় রোগে। সুস্থ থাকতে বরং আগাম জেনে নিন সাবধানে থাকার কিছু উপায়।
প্লাস্টিক মিনারেল জলের বোতলের বদলে রাখুন রিফিল-যোগ্য বোতল:
মিনারেল জলের বোতল অনেকেই কিনে ফেলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিন্তু সব সময়ে সব জায়গার জল স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সুরক্ষিত হয় না। তাই বাড়ি থেকে সঙ্গে নিয়ে বেরোন রিফিল- যোগ্য জলের বোতল এবং জায়গা বুঝে ভরে নিন শেষ হয়ে গেলে।
কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকেই নিন পানীয় জল:
পুজোর সময়ে শহর জুড়ে বহু জায়গায় পানীয় জল পাওয়া যায়। কিন্তু সব জায়গার জলের উপরে সমান ভাবে নির্ভর করা যায় না। সাবধানে থাকতে জল নেওয়ার জন্য বেছে নিন পরিচিত অথবা সকলের চেনাজানা কোনও জায়গা। বিভিন্ন শপিং মল, রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশনে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে। সেখান থেকে সংগৃহীত জলের উপরে ভরসা করতে পারেন। রিফিল যোগ্য জলের বোতল আবার ভরার জন্য এ রকম জায়গা খুঁজে নিন আশপাশে।
প্রতীকী ছবি
বিকল্প জলের সন্ধান:
প্রায় সব পুজো প্যান্ডেলেই উদ্যোক্তাদের তরফে দর্শনার্থীদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে রাখা হয় জলের ব্যবস্থা। কোনও কারণে যদি রেল বা মেট্রো স্টেশন কিংবা শপিং মল খুঁজে না পান, বিকল্প হিসেবে এই সব জায়গা থেকেও পানীয় জল সংগ্রহ করতে পারেন।
হাতে রাখুন জল শোধন করার সহজ উপায়:
অনেকেই বাইরের যে কোনও জল চট করে খেতে ইতস্তত বোধ করেন। সে ক্ষেত্রে সহজ উপায় হল বাজারচলতি নানা রকম জল পরিশোধনকারী ট্যাবলেট হাতে রাখা। এ ছাড়াও এখন বাইরের জল শোধন করে পানযোগ্য করে তোলার নানা রকম উপায় আছে। হাইড্রোফ্লাস্ক ব্যবহার করে জল শোধন এবং তা সঙ্গে রাখা, দুই-ই সহজে করা যায় প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার সময়।
পুজোর সময়ে হাসি-মজা-আনন্দের মধ্যেও আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষা আপনারই হাতে। তাই জলবাহিত রোগব্যাধি থেকে সতর্ক থাকুন। সুস্থ ভাবে পুজো কাটান সপরিবারে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।