প্রতীকী ছবি।
যে কোনও উৎসবের পিছনেই থাকে অনেক গল্প-কাহিনি-ইতিহাস। সেখান থেকে শেখারও থাকে অনেক কিছু। উৎসব মানেই আবার মিলনের উপলক্ষ। তবু, পৃথক পৃথক উৎসবের থাকে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। দীপাবলির ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে আলোর উদ্যাপন। কিন্তু উদ্যাপনের আড়ালে থেকে যায় ঝুঁকি। পুরাণ-লোককথার ফাঁকেও থেকে যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, যা সম্পর্কে সন্তানদের অবগত থাকা উচিত ছোট থেকেই। এই শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও বর্তায় অভিভাবকদের উপরেই। দীপাবলিতে কী শেখাবেন খুদেকে?
১) আলোর রোশনাই দেখতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু সেই ভাল লাগা যদি হয় পরিবেশের ভারসাম্যের মূল্যে তবে আমাদের আর একটু সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত। দীপাবলিতে আতসবাজির দূষণে অসম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশ। তাই সে ব্যাপারে একেবারে ছোট থেকেই সচেতন করা উচিত সন্তানকে।
২) সন্তানকে শেখান বাজি নয়, মোমবাতি বা প্রদীপ দিয়ে ঘর সাজান। এই অতিমারির সময়ে বাজি পোড়ানোয় ঝুঁকি আরও বেশি। তা ছাড়াও নানা উপায়ে সামিল হওয়া যায় এই আলোর উৎসবে। সেই বিকল্পগুলি ধরিয়ে দিন।
প্রতীকী ছবি।
৩) জামা-কাপড় নিয়েও প্রাথমিক স্তরের সচেতনতা থাকা ভাল। সিল্ক, শিফন বা জর্জেটের মতো কাপড় বেশ দাহ্য। তাই সুতির কাপড় পরাই সবচেয়ে নিরাপদ।
৪) কুকুর-বিড়ালের মতো পশুরা এ সময়ে বেশ আতঙ্কিত থাকে। বাড়িতে পোষ্য থাকলে বাচ্চাকে শেখান তার প্রতি এই সময়টায় আরও যত্নশীল হতে।
৫) উৎসবের মেজাজেও যেন কখনও ব্রাত্য না হয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার। বিগত কয়েক দিনে আবার বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। দীপাবলিতে আনন্দের আবহ সব চেয়ে বেশি উত্তেজনা থাকে বাচ্চাদেরই। তাই তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা আরও বেশি প্রয়োজন।
৬) সকলে এক সঙ্গে মিলিত না হলে জমে না উৎসেবর আনন্দ। আর ভাগ করলে আনন্দ বাড়ে। দীপাবলিতে খুদেকে শেখান উপহার দিতে। নিজেরাই হাতে বানিয়ে কিছু দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে তাদের সৃজনশীলতাও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
৭) কেবল নিজের আত্মীয়-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধব নয়, নিরাপত্তা-রক্ষী বা গৃহপরিচারিকা— যাঁদের মতো মানুষেরা এই আলোর আতিশয্যে থেকে যান আড়ালেই, তাঁদের কথাও যেন ভাবে আপনার সন্তান। তাঁদের প্রতিও দায়িত্ব বর্তায়, উপহার পেতে ভাল লাগে তাঁদেরও। সন্তানকে শেখান উৎসবের আনন্দে যেন বাদ না পড়েন কেউ।