সুনীল নগর সর্বজনীনের প্রস্তুতি পর্ব
১৯৪৯ শুরু পথ চলার। জন্ম লগ্ন থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পুজো হতো সাবেকি ঢঙেই। ১৯৮৮ সাল থেকে নতুন কিছু করার উদ্দেশ্যে ক্লাব সদস্যরা সবাই মিলে নিজেরাই নিজেদের পুজোর প্যান্ডেল তৈরি করতে শুরু করে।
কলকাতা শহরের প্রথাগত ডেকরেটারের পেল্লাই পেল্লাই আকারের প্যান্ডেলের থেকে এখানকার প্যান্ডেল অন্য রকম। বাংলার পুজোর দর্শকরা পেলো এক নতুন কিছু। ১৯৯০ সাল থেকে মন্ডপ এর সঙ্গে বাংলার হারিয়ে যাওয়া শিল্প ও তার সঙ্গে মানান সই সাবেকি প্রতিমা দিয়ে শুরু হল এক নতুন ঘরানার পুজোর। ১৯৯২ সালেই এই নতুন ঘরানার প্যান্ডেল ও প্রতিমার মেল বন্ধনের নাম দেওয়া হল থিম পুজো।
পাশাপাশি ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পুজো কমিটির সদস্যরা নিজেরাই তৈরি করে প্যান্ডেল। থিমের পুজো ছিল কম খরচে বড় পুজো করার এক নতুন উপায়।
এই বছরে সুনীল নগর সর্বজনীন পুজোর ভাবনা ‘শান্তিরূপেণ’। মায়ের হাতের যে সব অস্ত্র শান্তির প্রতীক, তাই নাকি এ বারের পুজোর মূল ভাবনা বলে জানাচ্ছেন সদস্যরা। মূলত বাঁশের দ্বারাই তৈরি করা হবে এই প্যান্ডেল। তবে প্রতিমার জায়গায় কাপড়ের কাজও দেখতে পাওয়া যাবে। ক্লাবের সম্পাদক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই আমাদের এই বছরের ভাবনা শান্তি রূপেন। আমরা চাই ফিরে আসুক সৌ-ভাতৃত্বের দিন। মায়ের কাছেও সেই প্রার্থনাই করি।’’
কী ভাবে যাবেন- বন্ডেল গেট থেকে বাইপাসের দিকে যেতে গেলে আট-দশ মিনিট পায়ে হাঁটলেই দেখা মিলবে এই মণ্ডপের।
থিম- শান্তি রূপেন
থিম শিল্পী- তাপস কাঞ্জিলাল
প্রতিমা শিল্পী- রাজু পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।