দেবী দুর্গা একা ধারে মা ও অন্য ধারে মেয়ে রুপে পূজিতা হন। চার দিনে তার আগমনের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা। কত ব্যস্ততা! তার বাপের বাড়িতে থাককালীন যেন কোনও খামতি না থাকে তাঁর জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়। ‘আহ্লাদি’ হয়েই থাকেন আমাদের কাছে। সেই দিক থেকে দেখলে বাড়ির মেয়েরাও সবার প্রিয়। পুজো থেকে শুরু করে বছর জুড়ে তাদের আবদার পূর্ণ করার চেষ্টা করে সকল মা-বাবা।
আবার অনেক কন্যা আছে যারা অল্প বয়সেই পরিবারের হাল ধরতে কাজে যায়। এই বিষয়গুলি নিয়েই নিজেদের থিম সাজাচ্ছে শোভাবাজার বড়তলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।
১৯২৮ সালে প্রথম পুজো শুরু করে এই ক্লাব। এই বছর তাঁদের ৯৫তম পুজো। প্রথমে সাবেকি পুজো করা হলেও প্রায় শেষ ১০ বছর ধরে তারা থিমের পুজোর দিকে ঝুঁকেছে।এই বছর থিমের নাম তাঁদের থিমের নাম ‘আহ্লাদী’।
পুজো মণ্ডপে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মেয়েদের জীবন-কাহিনি তুলে ধরা হবে। সেখানে যেমন আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের মেয়ের কথা থাকবে তেমন ভাবেই বাবার সঙ্গে খেলা দেখানো বাচ্চা মেয়েটিকেও ফুটিয়ে তুলে ধরা হবে।
মণ্ডপের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে লোহা, অ্যালুমিনিয়াম, রাখা হচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি। থিমের সঙ্গে মানিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। প্রথমার দিনই খুলে দেওয়া হবে পুজো মণ্ডপ।
থিম শিল্পী- ইন্দ্রজিত রায়
প্রতিমা শিল্পী- দীপেন মণ্ডল
যাবেন কী করে- শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে বেরিয়ে ট্রাম লাইন ধরে রাস্তাটা পার করে অরবিন্দ সরনী ধরে একটু এগোলেই বাঁ-হাতে মণ্ডপটি পড়বে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।