এই সমাজে আমরদের যা কিছু ভাল লাগে খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে তা আমাদের ভাল লাগানো হয়েছে। সেই জন্যই আমাদের ভাল লাগে। এছাড়া প্রতিটি ভাল লাগার জিনিস থাকে সাজানো-গোছানো। এই বিশ্বে সুন্দর সাজানো জিনিস দেবীর তৈরি এমনটাই মনে করছেন সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাবের থিম শিল্পী সুমিত দত্ত।
১৯৮৩ সালে পাড়ার অল্পবয়সিরা প্রথম পুজো শুরু করে এই ক্লাবের। এই বছরে ৪০ বছরে এই পুজো। তাদের ভাবনায় বিশ্বের সব চেয়ে সুন্দর জিনিস হল বই। পুজো মণ্ডপ বিভিন্ন বইয়ের সমাহারে সাজছে। বিভিন্ন বইয়ের চরিত্রগুলিও ত্রিমাত্রিক আকারের করা হচ্ছে। কাগজের ব্যবহার থাকছে। হাতে আঁকা থাকছে মণ্ডপ জুড়ে।
গোটা মণ্ডপ তৈরির করার ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব জিনিসই ব্যবহার করা হচ্ছে। থিমের সঙ্গে মানিয়েই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মাতৃ প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রেও রাসায়নিক রঙ ব্যবহার থেকে দূরে থাকা হয়েছে।
তৃতীয়ার দিন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করা হবে। পুজোর দিনগুলি এই কমিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।একাদশীর দিন এখানকার প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। তবে গঙ্গা দূষণের কথা মাথায় রেখে গঙ্গাতে নয় স্থানীয় পুকুরে বিসর্জন করা হবে।
থিম শিল্পী: সুমিত দত্ত
প্রতিমা শিল্পী: কাশী সরকার
যাবেন কী করে: সাঁতরাগাছি স্টেশনের আগের স্টেশন রামরাজা তলা নেমে অটো করে যাওয়া যাবে এই পুজো মণ্ডপে। শুধু ক্লাবের নাম বললেই হবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।