রামপ্রসাদ লিখেছেন, ‘এমন মানবজমিন রইল পতিত/ আবাদ করলে ফলত সোনা/ মন রে কৃষিকাজ জানো না’! এ এক সাধনার ফসল! অন্য দিকে পরমহংস রামকৃষ্ণের এক বিশেষ ধরনের সাধনার ফলেই দেবী আমাদের ঘরের আরও কাছের হয়ে উঠেছেন। তাঁকে মা বলতে পারি আমরা। সাধনার ফল কত বিচিত্রগামী! সেই সাধনাকে নিজেদের থিমের নাম দিয়ে এ বারের পুজোয় তুলে ধরছে শাস্ত্রীবাগান স্পোর্টিং ক্লাব।
১৮৮৩ সালে এই পুজো কমিটি প্রথম বার পুজো করে। এ বছর তাদের ৩৯তম বর্ষ। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই পুজো কমিটি এবার তাদের থিমের নাম দিয়েছেন ‘সাধনা’। এই পুজো মণ্ডপের একদম প্রথম থেকেই দেখানো হবে সাধনা কী ভাবে একজন মানুষকে পরিপূর্ণতা লাভ করতে সাহায্য করে।
এই একাগ্রতার ফলে যে কোনও মানুষ নিজের লুকিয়ে থাকা প্রতিভার বিষয়ে জানতে পারেন সেই বিষয়েও এখানে তুলে ধরা হবে। পুজো মন্ডপে গামছা, আসন, টিনের ব্যবহার দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন। এ ছাড়াও পুরো মন্ডপের কোথাও প্লাস্টিক বা পরিবেশের ক্ষতি করে এই রকমের জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে না পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। থিমের সঙ্গে মানিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে এখানে। তৃতীয়ার দিন পুজো মন্ডপ পরিদর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রতিমা শিল্পী: নবকুমার পাল
থিম শিল্পী :সৌরভ নাগ
যাবেন কী করে: উল্টোডাঙা থেকে এয়ারপোর্টগামী বাস ধরে জোড়ামন্দিরে নামলেই এই পুজো মন্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।