১৯৫৪ সালে তৎকালীন কলকাতার প্রান্তিক অঞ্চলের অধিবাসীরা এই পুজোর আয়োজন শুরু করেন নিছক পুজোর আনন্দে মেতে ওঠার তাগিদে। দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত এই দুর্গাপুজো অঞ্চলবাসীর সক্রিয় সহযোগিতায় ৬৯ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে।
পার্বতী তার জন্ম জন্মান্তেরর স্বামী মহাদেবকে পাওয়ার জন্য কঠিন তপস্যায় নিমগ্ন হন। তপস্যার দ্বারা মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিবাহই হল মহাবিশ্বের প্রথম ভালবাসার বিয়ে। যুগ যুগ ধরে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ - চড়ক, গাজন, গম্ভীরা প্রভৃতির মাধ্যমে আজও এই বিবাহকে শ্রদ্ধার সাথে উদযাপন করে চলেছে। দুই বর্ণের ‘মিলনের’ প্রতীক এই বিবাহকে মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে পালন করে চলেছে। এই ভেদাভেদ ও সংস্কার বিলুপ্ত হয়ে উৎসবই হোক আলোর দিশারী। এই মিলন শুধু শিব-পার্বতীর নয়, মিলন সর্বাত্মক। সমস্ত অজ্ঞতা ও সংস্কারের প্রাচীর ভেঙে একাত্ম হওয়ার মিলন।
পুজোর সম্পাদক শুভম চক্রবর্তীর কথায়,” এই বছর হর-পার্বতীর বিয়ে লোক শিল্পের মাধ্যমে উদযাপন করবে পল্লী উন্নয়ন সমিতি, পশ্চিম পুটিয়ারীর পুজোর মাধ্যমে। এ ছাড়াও মালদা থেকে ১২জন গম্ভীরা শিল্পী আসছেন। তাঁরা মঞ্চে অনুষ্ঠান করবেন। উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দুজন শিল্পী এসে মুখোশ তৈরি করছেন যা মণ্ডপে প্রদর্শন করা হবে।“
কী ভাবে যাবেন- নেতাজি মেট্রো স্টেশনের দু’টি গেটের মধ্যে পশ্চিম পুটিয়ারি বা টালিগঞ্জ খালের দিকের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসুন। বাইরে বেরিয়ে বাঁ দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন ‘ব্যানার্জি পাড়া’, পশ্চিম পুটিয়ারি। সেখানেই রয়েছে পুজো মণ্ডপ।
থিম- মিলন
থিম শিল্পী- সোমনাথ তামলী
প্রতিমা শিল্পী- আলোক কুমার দে
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।