Hatibagan Sarbojonin Durgotsov Committee

হাতিবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সঙ্গে জড়িয়ে নকশাল নেতা কানু সান্যালের নাম

এই পুজো কেন হওয়া জরুরি, তার যুক্তি নিয়ে নকশাল নেতা কানু সান্যালের সঙ্গে একদা বসেছিলেন হাতিবাগান সর্বজনীন। এ বারে এদের থিম ‘দোসর’।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩৫
Share:

হাতিবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি

সত্তর দশকের গোড়ায় পশ্চিমবঙ্গের কঠিন রাজনৈতিক সময়ে যখন উত্তর কলকাতার দুর্গোৎসব টলমল, তখন পাড়ার রকে বসেই কানু সান্যালের মতো ডাকসাইটে নকশাল নেতাকে হাতিবাগান সর্বজনীন বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল, কেন এই পুজোটা হওয়া জরুরি। এবং সে সময়েও নির্ঝঞ্জাটে হাতিবাগানের শারদোৎসব সম্পন্ন হয় ।

Advertisement

আসলে ক্ষুদিরাম বসু রোড আর অরবিন্দ সরণির সংযোগস্থলের এই অঞ্চলে নতুন নকশাদার ফ্ল্যাটবাড়ির পাশেই আজও সেই পুরনো আমলের খিলান দেওয়া বাড়ি বহাল তবিয়তে আছে।

পাড়ার একই রকে বসে হাতিবাগান সর্বজনীনের তৎকালীন কমিটি মেম্বরের সঙ্গে ডাকসাইটে নকশাল নেতার আলোচনা যেমন দু’টো সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতের মানুষকে ‘দোসর’ বানায়, তেমনই আধুনিক ডিজাইনার ফ্ল্যাট আর তার পাশেই খিলান দেওয়া প্রাচীন কালের বাড়িও একে অন্যের 'দোসর'।

Advertisement

এবং এটাই এ বছরের হাতিবাগান সর্বজনীনের থিম— দোসর। এঁদের দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সচিব শাশ্বত বসু আরও জানাচ্ছেন, থিমের সঙ্গে মানানসই করে প্রতিমা হলেও, সুদীর্ঘ ৮৯ বছরের পুজোর পরম্পরা অনুসরণ করে এক চালার ঠাকুরই হচ্ছে এবারও। এ ক্ষেত্রে সাবেকিয়ানা আর আধুনিকতা হয়ে উঠছে একে অপরের দোসর। যেমন চুন খসে যাওয়া ইট দেখা নড়বড়ে বাড়িটা হয়ে ওঠে একটা ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটবাড়ির দোসর। নয়নতারা গাছটা হয়ে ওঠে মানিপ্লান্টের দোসর। আলো হয়ে ওঠে অন্ধকারের দোসর। বাসগুলি অটোর.. অটোগুলি ট্রামলাইনের...ঢাক কাঁসরের.. জল নৌকোর... চাঁদ জ্যোৎস্নার... মায়া মোহের.. ভুল ঠিকের.. আনন্দ দুঃখের.. সবাই সবার দোসর..। আর এই গল্প ফুটে উঠবে হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজোয়।

এবং এটাই এ বছরের হাতিবাগান সর্বজনীনের থিম— দোসর। এঁদের দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সচিব শাশ্বত বসু আরও জানাচ্ছেন, থিমের সঙ্গে মানানসই করে প্রতিমা হলেও, সুদীর্ঘ ৮৯ বছরের পুজোর পরম্পরা অনুসরণ করে এক চালার ঠাকুরই হচ্ছে এবারও। এ ক্ষেত্রে সাবেকিয়ানা আর আধুনিকতা হয়ে উঠছে একে অপরের দোসর। যেমন চুন খসে যাওয়া ইট দেখা নড়বড়ে বাড়িটা হয়ে ওঠে একটা ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটবাড়ির দোসর। নয়নতারা গাছটা হয়ে ওঠে মানিপ্লান্টের দোসর। আলো হয়ে ওঠে অন্ধকারের দোসর। বাসগুলি অটোর.. অটোগুলি ট্রামলাইনের...ঢাক কাঁসরের.. জল নৌকোর... চাঁদ জ্যোৎস্নার... মায়া মোহের.. ভুল ঠিকের.. আনন্দ দুঃখের.. সবাই সবার দোসর..। আর এই গল্প ফুটে উঠবে হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজোয়।

কীভাবে যাবেন : হাতিবাগান মোড় থেকে খান্না সিনেমা হল যাওয়ার পথে ডান দিকের প্রথম গলিতে হয় এই পুজো।

ভাবনা : দোসর

ভাবনায় : তাপস দত্ত

প্রতিমা শিল্পী : কৃশানু পাল

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement