মাতৃদেবীর আরাধনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে গোটা বাংলা। দেবী দুর্গাকে মায়ের রূপে পুজো করা হবে। প্রদীপের আলোর নীচে অন্ধকারের মতো আজও সমাজের বহু নারী আছেন যারা অবহেলিত, লাঞ্ছিত। সমাজে তাঁদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। যাঁদের দেখলে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ নাক সিঁটকোয়। তাঁদের কথাই নিজেদের থিমে বলছে নবলিয়াপাড়া ইউনাইটেড ক্লাব।
এ বছর নবলিয়াপাড়া ইউনাইটেড ক্লাবের ২৪তম বর্ষ। ২০০০ সালে পুজো শুরু করে এই ক্লাব। নিজেদের পুজোর নাম তারা দিয়েছে আলোক-আকর্ষি (এসো আলোর জীবনে মুক্ত বাতায়নে)। এই থিমের সাহায্যে মণ্ডপে বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হাতে আঁকার মাধ্যমে সমাজে অবহেলিত নারীদের চিত্র তুলে ধরা হবে। প্রতিমাতে থাকছে সাবেকির ছাপ। ১৫ অক্টোবর পুজোর উদ্বোধন করা হবে। সে দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দশমীর দিন এই ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন হবে। পুজো কমিটির কোষাধক্ষ অনীশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ প্রাক রজত জয়ন্তী বর্ষের আগে আমাদের এই বছরের পুজোয় সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। পুজো মণ্ডপে চিত্রের সাহায্যে এই বিষয়টা তুলে ধরা হচ্ছে।’’
থিম শিল্পী: সাহেব সান্যাল
প্রতিমা শিল্পী: তপন পাল
যাবেন কী করে যাবেন: তারাতলা থেকে বেহালা চৌরাস্তা যেতে হবে। সেখান থেকে টালিগঞ্জের দিকের রাস্তায় গিয়ে জেমস লং ক্রসিংটা পার করলেই এই পুজো মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।