হাওড়া জাতীয় সেবা দল দুর্গা উৎসব কমিটি। স্বাধীনতার আগে থেকেই চলে আসছে এই পুজো। এ বছর ৯০ বর্ষে পা রাখলেন তাঁরা। এই বর্ষে এই পুজো কমিটির প্রধান আকর্ষণ দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির। চার দিকে যে হিংসার আবহাওয়া ছড়িয়েছে তার বদলে শান্তির বার্তা দিতেই এই পুজো মন্ডপ সবার সামনে তুলে ধরছেন তাঁরা। এই পুজো মন্ডপের সঙ্গে সঙ্গে চন্দননগরের লাইটিং থাকবে তাঁদের।
প্রতি বছর বিভিন্ন আকর্ষণীয় মণ্ডপ তৈরি করে এই পুজো কমিটি। হাওড়ায় যে পুজোগুলি হয় তার মধ্যে এটি অন্যতম। অক্ষরধামের আদলে তৈরি এই পুজো মণ্ডপ সকালবেলায় এক রকম। রাতের বেলায় অনেক রকম দেখতে লাগবে বলে দাবি করছেন কর্তারা। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করছেন মণ্ডপের লাইটিং।
রাতে বিশেষ আলোর মাধ্যমে এই মণ্ডপ তুলে ধরা হবে দর্শনার্থীদের কাছে। ক্লাবের সম্পাদক মানবেন্দ্র মালিক বলেন, ‘এই মুহূর্তে যে হিংসার ছবি চারদিকে ধরা পড়ছে তা রোধ করতে ও শান্তির বার্তা দিতে এইবার আমরা দিল্লির অক্ষরধাম পুজো মণ্ডপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের সাজানো আলো এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। প্রতিমাতে থাকবে সাবেকিয়ানা।’’ এই পুজোর প্রতিমা তৈরি করছেন সনাতন রুদ্র পাল।
যাবেন কী করে: হাওড়া স্টেশনে নেমে কদমতলার বাস ধরে বেলিলিয়াস বাস স্ট্যান্ড চলে যান। এখান থেকেই পুজোর আলো দেখতে পাবেন। একটু হেঁটে গেলেই পুজোর মাঠ।
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন রুদ্র পাল
মণ্ডপ সজ্জা ও শিল্পী: কোয়েল ডেকোরেটর ও শান্তনু চট্টোপাধ্যায়
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।