দুর্গার প্রতীকী চিত্র
দুর্গাপুজো হয় ব্রাহ্মণ ছাড়াই! হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বীরভূমের লাভপুর থানার আদিবাসী গ্রাম সুঁদিপুরে পুজো হয় এ ভাবেই। পুরোহিত ছাড়াই পুজোর সবক’টি দিনে মন্ত্র পড়া হয় দেবীর সামনে। গ্রামের আদিবাসীরা পৈতে ধারণ করেই পূজার্চনা করেন।
এই গ্রামে প্রায় ১২০টি আদিবাসী পরিবারের বাস। তার মধ্যে একটি পরিবার বহু বছর ধরেই এই রীতি ধরে রেখেছেন। প্রথাগত ভাবে কোনও পুজো না হলেও বংশ পরম্পরায় দুর্গাপুজো করেন সুঁদিপুর গ্রামের কোঁড়া পরিবারের সদস্যরা। তাতে শামিল হন গোটা গাঁয়ের মানুষ, বাকি আদিবাসী পরিবারগুলো। অচেনা ধারায় উৎসবের স্বাদ নিতে অন্য জায়গা থেকেও মানুষ আসেন এই গ্রামে পুজো দেখতে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানা যায়, এক সময়ে গ্রামের আশপাশে অনেক পুজো হলেও অংশগ্রহণ করতে পারতেন না এই গ্রামের মানুষজন। দূর থেকেই তাঁদের পুজো দেখতে হত। শুধুমাত্র দশমীর দিনে ঘট বিসর্জনের সময়ে আদিবাসীরা ধামসা-মাদল নিয়ে নাচ দেখানোর জন্য ডাক পেতেন। তাই কোঁড়া পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের গ্রামেই পুজো করবে তারা। কিন্তু সেখানে ব্রাহ্মণরা পুজো করতে নারাজ ছিলেন। তাই আদিবাসীরা নিজেরাই পৈতে ধারণ করে পুজো শুরু করেন, যা আজও একই ভাবে হয়ে আসছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।