দক্ষিণ কলকাতা র ভবানীপুরের সোনা ব্যবসায়ী শ্রী রামলাল দে সপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে নিজবাড়িতে মায়ের আরাধনা শুরু করেন ।১৫৩ বছরের পুরনো এই বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজোর কাঠামো পুজো হয় রথের দিন আর বিধি মেনে পুজো শুরু হয় চতুর্থী তিথি থেকে। আগে মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পী রবিন চিত্রকর "দে বাড়ি" এসে মায়ের মূর্তি তৈরী করতেন যদিও বর্তমানে তা আর হয় না। চতুর্থী তে বাড়ির ছেলেরা নিজের হাতে মা কে গয়নায় সজ্জিত করে তোলেন আর বাড়ির মেয়ে -বৌরা নারকেলের বিভিন্ন রকম মিষ্টি তৈরী করে থাকেন । পঞ্চমী তে বসে বোধন । সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত লুচি ,মিষ্টি ও দুধ সহযোগে ১৩ টি ভোগ নিবেদন করা হয় মা ও তার সন্তান সন্ততি দের উদ্দেশ্যে। অষ্টমী তে সন্ধি পুজোর আগে হয় কুমারী পূজা, সধবা পূজা, ও বাড়ির ব্রতী দ্বারা ধুনো পোড়ানো। আগে অষ্টমী তে গরু পূজা হত যদিও বর্তমানে সেই প্রথা লুপ্ত। যেহেতু এই বনেদি বাড়িতে দেবী বৈষ্ণব মতে পূজিতা তাই নবমী তে দেবী মায়ের উদ্দেশ্যে চালকুমড়া বলী ও হোম করা হয়। দশমী তে দেবীর প্রতিমা কে বাঁশে বেধে কাধে করে নিয়ে আদি গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয় ।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।