দশমীর সিঁদুর খেলা ও বিসর্জনের বিষাদের মাঝেই উৎসবপ্রিয় জনতা কৌতুহলী হয়ে পড়েন পরের বছরের পুজোর নির্ঘণ্ট। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী বছরে মহালয়ার ৩৬ দিন পর মহাসপ্তমীর ঢাক বাজবে মণ্ডপে মণ্ডপে।
‘বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা’ মতে ২০২০ সালে মহালয়া তিথিটি পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর (১ আশ্বিন)। শাস্ত্র অনুসারে ওইটাই তর্পণের দিন। এর পর মহাসপ্তমীর তিথিটি পড়েছে ২৩ অক্টোবর। সাধারণত মহালয়া থেকে সপ্তমী তিথি পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান থাকে সাত দিনের। কিন্তু পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দিনের। কিন্তু কেন এত ফারাক?
পঞ্জিকা মতে, ২ থেকে ৩ বছর অন্তর একটি করে অধিবাস পড়ে। শাস্ত্র অনুসারে, এই অধিবাসে কোনও মঙ্গলতিথি পালন করা যায় না। একে বলে ‘মল মাস’। আর এই মল মাসে কোনও শুভ কাজও করা হয় না। যে মাসে দু’টি অমাবস্যা পড়ে সেই মাসকেই সাধারণত বলা হয় মল মাস। ২০২০ সালের আশ্বিন মাসেও পড়েছে এমন দুটি অমাবস্যা। তাই ওই মাসটিও মলমাস। সেই কারণেই পুজো পিছিয়ে গিয়েছে কার্তিকে।
আরও পড়ুন:দশভুজা নন, সোমড়াবাজারের সেন পরিবারে ত্রিভুজা রূপে পূজিত হন দেবী
তবে এ ঘটনা কোনও আধিদৈবিক বা অলৌকিক বিষয় নয়। এই ঘটনা একেবারেই প্রাকৃতিক। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সৌর ও চন্দ্র বছরের দৈর্ঘের ব্যবধানকে মিলিয়ে দেওয়ার জেরেই মহালয়া থেকে সপ্তমী আসতে এত দেরি।
আরও পড়ুন:বিজয়ার গুটিকয় চিঠি লেখার অভ্যাসই অগুনতি প্রেমের চিঠি লিখিয়ে নিয়েছে
এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮২ এবং ২০০১ সালেও।