১৯৭২ সালে পুজো শুরু করে বন্ধনী ব্যায়াম সমিতি। এবারের তাঁদের ৫১ বছরের পুজো। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিরে দেখা’। এই থিমের সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্নকে শিল্পকে তুলে ধরা হবে। শুধু শিল্প না, হারিয়ে যেতে বসা বেত, পোড়া মাটিরও কথা বলা হবে।
গ্রাম বাংলার বিভিন্ন শিল্প যা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল তা এখন ব্যবহারই করা হয় না। তার মধ্যে রয়েছে পোড়া মাটির জিনিস, টেরাকোটা, বেতের জিনিস। এই গুলোর ব্যবহার ও তাঁদের হারিয়ে যাওয়া আটকাতে এই রকম ভেবেছে বন্ধনী ব্যায়াম সমিতি। পুজো মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রেও বাঁশ, বেত, তালপাতা, সেঁজুরপাতা, টেরাকোটার বিভিন্ন জিনিস এ ছাড়াও পোড়া মাটির ব্যবহার থাকবে। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আগের বছর থেকে থিম পুজো শুরু করেছি।তার আগে পর্যন্ত সাবেকি পুজো হত। আগেরবার আমরা দারুণ সাফল্য পেয়েছি। এইবারও থিম করা হচ্ছে।থিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিরে দেখা।’’ থিমের পুজো হলেও প্রতিমা এখানে সাবেকি। ভার্চুয়ালি পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সাধারণের জন্য তৃতীয়ার দিন পুজো খুলে দেওয়া হবে।
থিম শিল্পী : রাজকমল গিরি
প্রতিমা শিল্পী : পিন্টু চোংদার
যাবেন কী করে : হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে ৫২ নং বাস করে গৌড়ীও মঠ স্টপেজ। মন্দির তলা থেকে ওলবিবিতলা হয়ে কলিকা মিষ্টান্ন ভান্ডার। সেখানেই এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।