পূর্ণতা’। ৫৬ তম বর্ষে এটাই থিম এই পুজোয়। মূল ভাবনা হিসেবে সেরামিক শিল্পকে বেছে নিয়েছে বাগুইআটি উদয়ন সঙ্ঘ। মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা, সবই সেরামিকের তৈরি উত্তর কলকাতার এই পুজোয়। সাধারণ ব্যবহারের থালা, বাটি, গ্লাস, সেকালের কারুকার্য করা পাত্র, নানান ডিজাইনের শো পিস, মূর্তি, রাজা-রাজড়াদের দুর্গের আদলে ছোট বাড়ির নক্সা ইত্যাদি দর্শনার্থীদের জন্য এ বার বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে এখানে।
পুজোর সম্পাদক সুমন ঘোষ বলেন, "সব কিছুই প্রথমে ছোট ছোট জিনিস থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেষে কাঙ্ক্ষিত বস্তুতে পরিণত হয়। যে কোনও জিনিসই অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে পূর্ণ রূপ পায়। এই পুরো পদ্ধতিটি দেখাতে চেয়ে মাধ্যম হিসেবে সেরামিক বেছে নিয়েছি আমরা। একটা মাটির তালকে প্রথমে আকার দিয়ে পুড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। তার পর সেই পোড়ামাটিতে রাসায়নিক প্রয়োগ করে পুনরায় আগুনে ঝলসে সেরামিকের আকার দেওয়া হচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়াকেই তুলে ধরা হবে।"
১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই পুজোয় প্রথম দিকে সদস্যরা বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নিয়ে এসে মণ্ডপ তৈরি করতেন। বছর দশেক আগেও সাবেক পদ্ধতিতে পুজো হত এখানে। গত দশ বছর ধরে চলছে থিমপুজো। সম্পাদকের কথায়, "এখানে এক বা দু’দিন নয়, পাঁচ দিনই ভোগ বিতরণ করা হয়। মহাষ্টমীর অঞ্জলিতে কমপক্ষে ১০০০ জন মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতি দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।"
প্রতিমা শিল্পী ও থিম-শিল্পী : তন্ময় হাজরা
পথ-নির্দেশ : হাওড়া স্টেশন বা বিধাননগর স্টেশন থেকে বাসে বাগুইহাটি। বাসস্টপ থেকে হেঁটে বা টোটোয় চাউলপট্টি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।