আমাদের এই পৃথিবী সবুজ, নির্মল, অক্সিজেন পূর্ণ। বাকি গ্রহগুলির থেকে সবচেয়ে সুন্দর। এই কারণের জন্যই জীবকুলের একমাত্র ঠিকানা বসুন্ধরা। তবে আমাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য এই গ্রহে সবুজের পরিমাণ কমছে। হাওয়ায় বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। পৃথিবী আগামীর বাসিন্দাদের জন্য কতটা বাসযোগ্য থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই জায়গা থেকে সমাজকে পুজোর মাধ্যমে বার্তা দিতে চাইছে খিদিরপুর ৭৪ পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
১৯৫৫ সালে নিজেদের প্রথম পুজো শুরু করে খিদিরপুর ৭৪। এই বছর তাদের ৬৮ বছরের পুজো। থিমের নাম তারা দিয়েছেন ‘ভাল-বাসা’। এই থিমের সাহায্যে তারা তুলে ধরছে পৃথিবীর দূষণ।
মানুষ বিভিন্ন খারাপ কাজে ধীরে ধীরে বাসের অযোগ্য করে তুলছে। আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ রেখে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তাই দূষণ মুক্ত রাখতে হবে পৃথিবীকে এই বার্তাই থাকবে। থিমের কথা মাথায় রেখে পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে বাঁশ, বেত, বেতের ঝুড়ি দিয়ে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনও পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে না। থিমের সঙ্গে তালমিলিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মহালয়ার দিন পুজোর উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে দর্শনার্থীরা দ্বিতীয়ার দিন থেকে মণ্ডপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
থিম শিল্পী: সুমন্ত চক্রবর্তী
প্রতিমা শিল্পী: নবকুমার পাল
যাবেন কী করে: শিয়ালদহ থেকে বাস ধরে খিদিরপুর মোড়ে নামতে হবে। সেখানে নেমে বাঁ-দিকে হাঁটলেই পুজোর আলোর গেট শুরু হবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।