দুর্গা প্রতিমা
পাহাড়ের কোলেও হয় দুর্গাপুজো, যা অনেকেরই হয়তো অজানা। আর দার্জিলিংয়ের সেই পুজো কিন্তু প্রায় ১০০ বছরের পুরনো!
সময়টা ১৯১৪। স্বাধীনতার অনেক আগে, ব্রিটিশ শাসনকালেই যার সূচনা। ইতিহাস বলে, এই পুজোয় ব্রিটিশদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বর্ধমান রাজপরিবারের সদস্যেরা। শোনা যায়, বর্ধমানের মহারাজা উদয়চাঁদ মহতাব ও তাঁর বাবা বিজয়চাঁদ মহতাব পুজোর সময়ে এখানে অঞ্জলিও দিতে আসতেন। সঙ্গে আসতেন রানিরা।
এক সময়ে মহা জাঁকজমকে হতো দার্জিলিংয়ের এই দুর্গাপুজো। প্রতিমা যেত কলকাতার কুমোরটুলি থেকে শিলিগুড়িতে। তার পরে টয়ট্রেনে চেপে মা দুর্গা পৌঁছতেন দার্জিলিংয়ে। পুজোর সাজে সেজে উঠত গোটা দার্জিলিং শহর। পাহাড় জুড়ে তখন এক নতুন রূপ। একশো বছর পরে এখনও উদযাপন হয় একই ভাবে। পুজোয় ভিড় জমান বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার আগে থেকে চলে আসা এই পুজোকে তাঁরা ঐতিহ্য মেনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সমস্ত রীতিনীতি পালন করেই এখানে মায়ের আরাধনা করা হয়। এই পুজোর নজরকাড়া আর একটি বিষয় হল বিসর্জনের দিন প্রতিমাকে কাঁধে চাপিয়ে গোটা শহর ঘোরানো হয়। এর পরে প্রতিমাকে নামানো হয় দার্জিলিং স্টেশনের কাছে। সেখান থেকে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িতে চাপিয়ে। প্রত্যেক বছর গোটা দার্জিলিং ছাড়াও দেশ বিদেশের বহু মানুষ সাক্ষী থাকেন এই ঐতিহ্যবাহী উদযাপনের।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।