ওমরের বিঘ্নেশ্বর অষ্টবিনায়ক মন্দির
দেবী দুর্গার পুজো। তা ঘিরেই উৎসবমুখর বাঙালি। তা বলে দুর্গার ছেলেমেয়েদের নিয়ে আগ্রহ কম নাকি? পুজোর ছুটির তালিকায় তাই হামেশাই জায়গা করে নেয় মহারাষ্ট্রের অষ্টবিনায়ক মন্দির।
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গণেশের আটটি রূপের মন্দির। যে সেগুলিকে ঘিরেই হয় 'অষ্টবিনায়ক মন্দির পরিক্রমা'। 'অষ্টবিনায়ক’ অর্থাৎ গণেশের আটটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
আটটি মন্দির পুণে, রায়গড় ও আহমেদনগরে অবস্থিত। তালিকায় রয়েছে মোরগাঁও অঞ্চলের ‘মোরেশ্বর গণপতি’, রঞ্জনগাঁওয়ের ‘মহাগণপতি’ থেউরের ‘চিন্তামণি’, লেনাদ্রির ‘গিরিজাত্মক’, ওঝরের ‘বিঘ্নেশ্বর’, সিদ্ধিটেকের ‘সিদ্ধি বিনায়ক’, পালির ‘বালাশোর’ এবং মাহাদ এলাকার ‘বরদা বিনায়ক’। এর মধ্যে ওঝরের বিঘ্নেশ্বর মন্দিরের গুরুত্ব সর্বাধিক।
লোককথায় বলে-- গণেশ বিঘ্ননাশক, তাই এখানে বিঘ্নেশ্বর। বিভিন্ন পুরাণ অবশ্য বলছে অন্য কথা। পুরাণ অনুসারে, দেবতা ও ঋষিদের যজ্ঞে বিঘ্নাসুর বাধা সৃষ্টি করছিল। দেবতারা তখন শিবের নির্দেশে গণেশের কাছে যান। গণেশ দেবতাদের অনুরোধে বিঘ্নাসুরকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। স্বর্গে শান্তি ফিরে আসে।
কেউ কেউ বলেন মৃত্যুর পূর্বে বিঘ্নাসুর নাকি গণেশের কাছে ক্ষমা চান। গণেশ সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর নামের সঙ্গে নিজের নামটি রাখেন। তা থেকেই গণেশের নাম হয়, ‘বিঘ্নেশ্বর’।
ওঝরের কুকারী নদীর তীরে এই মন্দির। জনশ্রুতি বলে, এই ওঝর এলাকাতেই গণেশের সঙ্গে বিঘ্নাসুরের যুদ্ধ হয়েছিল। এখানেই তিনি বিঘ্নাসুরকে বধ করে এলাকার বিঘ্ন দূর করেন ও সাধারণের সুখ-শান্তি ফিরিয়ে দেন। সে কারণে সিদ্ধিদাতা এখানে বিঘ্ননাশক রূপে পূজিত হন।
ভক্তদের বিশ্বাস, বিঘ্নেশ্বর গণেশ রোগ নিরাময়কারী। তাঁর দর্শন করলে নাকি সমস্ত বাধা,বিঘ্ন,রোগ এবং সমস্যা দূর হয়। সে কারণে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এই বিঘ্নেশ্বর মন্দিরে।
কীভাবে যাবেন: ট্রেনে হাওড়া থেকে পুণে। পুণে থেকে সড়কপথে ওঝর ৮৫ কিমি। আপনি চাইলে মুম্বই হয়েও আসতে পারেন। মুম্বই বা পুণে থেকে নারায়ণগাঁও হয়ে যাওয়া যায় ওঝর। কাছের বিমানবন্দর পুণে।
(এই মন্দির সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনিতে জীবন যাপন নিয়ে যে দাবি করা হয়ে থাকে, তা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন দায়ি নয়। )