বাঁদরের স্বপ্ন। তাতেই সমস্যা মেটার ইঙ্গিত। কারণ ভক্তের সমস্যা যে পৌঁছে গিয়েছে খোদ বজরংবলির কাছে!
এমনটাই নাকি হয় মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের বাগেশ্বর ধামে। এই মন্দিরে বালাজী অর্থাৎ বজরংবলি পূজিত হন। সামনে রয়েছে মহাদেবের মন্দিরও।
১৯৮৬ সালে এই মন্দিরের পত্তন। তার পর থেকেই ক্রমশ প্রসিদ্ধি লাভ করতে থাকেন এখানকার বজরংবলি। ১৯৮৭ সালে এই মন্দিরে সন্ত সেতু লাল মহারাজের আগমন হয়। তিনি ছিলেন আচার্য ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রীর দাদু। এর পরে ২০১২ সাল থেকে এখানে ভক্তদের সমস্যার সমাধানের জন্য দরবার বসা শুরু। ২০১৬ সালে ভূমি পুজোর পর বজরংবলীর এই মন্দিরে ভিড় বাড়তে থাকে দ্রুত। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সমস্যার সমাধানের খোঁজে আসেন এখানে।
ফি মঙ্গলবার তুমুল ভিড় হয় বজরংবলির এই মন্দিরে। এখানকার রীতি অনুযায়ী একটি কাগজের টুকরোয় নিজের সমস্যা লিখে গোটা নারকেলের সঙ্গে কাপড়ে বেঁধে মন্দির চত্বরে রেখে দিতে হয়। লাল, হলুদ ও কালো কাপড়ে মোড়া নারকেল পাওয়া যায় এখানে। সাধারণ সমস্যার সমাধানের জন্য লাল কাপড়, বিবাহ সংক্রান্ত মনস্কামনা পূরণে হলুদ কাপড়। অন্য দিকে প্রেত-বাধা থেকে মুক্তি পেতে কালো কাপড়ে নারকেল বেঁধে রেখে দিতে হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস বলে, ভক্তের আবেদন গৃহীত হলে নাকি আগামী দু'দিন বাঁদরের স্বপ্ন দেখবেন তিনি বা পরিবারের কোনও সদস্য। শুধু এক দিন বাঁদরের স্বপ্ন দেখার অর্থ আপনার আর্জি বজরংবলির কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু বাঁদরের স্বপ্ন দেখা না-গেলে পরের মঙ্গলবার একই ভাবে নারকেল রাখতে হবে বজরংবলির উদ্দেশ্যে। ২-৩ মঙ্গলবার লাগাতার এই উপায় করলে নাকি সুফল মিলবেই।
অবস্থান: মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে ছতরপুরের দূরত্ব ৫৮০ কিমি। ইনদওর থেকে ৫২০ কিমি। জব্বলপুর থেকে ২৬৭ কিমি।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।