প্রতীকী ছবি
মহালয়া মানেই দেবী পক্ষের সূচনা। ভোর বেলা বীরেন্দ্রকৃষ্ণে ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ দিয়ে ঘুম ভাঙে বাঙালির। অনেকেই আবার এই দিন ভোরে পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন।
এ দিকে গুপ্ত প্রেসের পঞ্জিকা বলছে, এবারে মহালয়ার দিনেই রয়েছে সূর্য গ্রহণ। ওই দিন পড়েছে পূর্ণ গ্রাস সূর্য গ্রহণ। পুরাণের কাহিনিতে আথে, স্বরভানু রাক্ষসের মাথা এবং ধড় দুই ছায়া-রাক্ষস রূপে ঘুরে বেড়ায় মহাজগতে। এবং সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণের কারণ এই দুই ছায়া-রাক্ষস। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই রাহু এবং কেতুর অবস্থানের হেরফেরে বদল হয় মানুষের ভাগ্যে। ভাগ্যচক্রের ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় রাহু কেতু না থাকলে হয়ে যেতে পারেন ফকির।
গুপ্ত প্রেসের পঞ্জিকা মত, এবারে মহালয়া পড়েছে ১৪ অক্টোবর বা ২৬ শে আশ্বিন। অমাবস্যা শুরু ১৩ অক্টোবর বা ২৫ আশ্বিন রাত্রি ৯:২৮ মিনিটে, শেষ ১৪ অক্টোবর রাত্রি ১০:৫১ মিনিটে।
আবার বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে এ দিনই কিন্তু রয়েছে পূর্ণ গ্রাস সূর্য গ্রহণ। ১০০ বছরে বিরল এই মহা জাগতিক যোগ।
তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এই দিন কি তর্পণ করা সম্ভব? নাকি এবারের মহালয়ায় জল পাবেন না পিতৃ পুরুষেরা।
এই বছর ১৪ অক্টোবর সূর্য গ্রহণ থাকলেও তা ভারত থেকে দেখা যাবে না। দেখা যাবে আমেরিকা ও অনান্য দেশ থেকে।
শাস্ত্র মতে, শুধু মাত্র যে দেশে সূর্য গ্রহণ দেখা যাবে সেখানেই এই শুভ অশুভর প্রশ্ন ওঠে। তাই ভারতে মহালয়ার দিন তর্পণে কোনও রকম বাধা নেই।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।