প্রতীকী চিত্র
বাঙালি বাড়িতে পুজোর আগে ঘরদোর পরিষ্কার করা বা ঘর সাজানোর একটা পর্ব চলে। আপনার বাড়িও সেই দলের বাইরে নয় নিশ্চয়ই? শুধু ঘর ঝাড়া-মোছা করা নয়, আসবাবপত্র ভিন্ন ভাবে সাজিয়ে নিলেও বাড়িটা একটু অন্য রকম দেখায়। সারা বছর বাড়ি সাজানোর ইচ্ছে থাকলেও সময় করে ওঠা সম্ভব হয় না। কিন্তু পুজোর আগে সাফাইপর্বের সময়ে ঘরটা নতুন করে সাজিয়ে নেওয়াই যায়। কী ভাবছেন, আবার একগাদা টাকা খরচ করে নতুন সরঞ্জাম কিনতে হবে? পুরনো আসবাবগুলোই বা তখন রাখবেন কোথায়? এক ঢিলে দুই পাখি মেরে পুরনো আসবাবেই আনুন নতুনের ছোঁয়া! ব্যস! কম খরচে মুশকিল আসান!
ধরা যাক, বাড়ির বহু পুরনো এবং প্রিয় লোহার টেবিলটায় মরচে ধরে গিয়েছে। ফেলতেও পারছেন না, আবার ঘরে বেমানানও লাগছে। কুছ পরোয়া নেই! মরচে ঘষার কাগজ দিয়ে ঘষে ঘষে মরচে তুলে ফেলুন। তার পরে টেবিলের উপরের অংশ এবং ড্রয়ারগুলোকে উজ্জ্বল রং করে নিন, যা ঘরে এনে দেবে রঙিন আবহ। স্থানীয় রঙের দোকানে গিয়ে জেনে নিন কীসের উপরে (কাঠ, লোহা ইত্যাদি) কোন ধরনের রং করলে টেকসই হবে।
ইদানীং বাড়িতে পড়ে থাকা পুরনো কাচের বোতলের গায়ে ছবি বা নকশা এঁকে ফুলদানি হিসেবে ব্যবহারের খুব চল। আপনিও করে দেখুন না! বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে তাকেও এই কাজে সঙ্গী করতে পারেন, খুব আগ্রহী হবে। পুরনো প্লাস্টিক বোতল দিয়ে বানিয়ে নিন ঝুলন্ত টব, কাচের বোতল অর্ধেক করে নিয়ে ছাদ বা ব্যালকনির জন্য ঝুলন্ত বাতিও বানাতে পারেন।
বাড়িতে অব্যবহৃত সাইকেল বা স্কুটার আছে? বাগান বা উঠোনের মত ফাঁকা জায়গা থাকলে সেগুলোকে উজ্জ্বল রং করে বা ছবি এঁকে ওই জায়গায় সাজিয়ে রাখতে পারেন। সাইকেল বা স্কুটারের গা বেয়ে তুলে দিতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট জাতীয় লতানে গাছ। ইদানীং অনেক ক্যাফে, রেস্তোরাঁও এ ভাবে সাজানো হয়।
পুরনো ছোট কাঠের আলমারি আছে বাড়িতে। জামাকাপড় রাখার জন্য আর ব্যবহার করেন না, অথচ বেশ শক্তপোক্ত আছে। তাকেও নতুন করে রং করে জুতোর র্যাক বা কিচেন ক্যাবিনেট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এ তো কয়েকটা মাত্র উদাহরণ। এ ভাবে পুরনো জিনিসকে নতুন ভাবে ব্যবহার করার হরেক ভাবনা নিশ্চয়ই আপনার মাথাতেও আসছে? ব্যস, এই বেলা কাজে লেগে পরুন। হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। পুরনো আসবাবেই বাড়িকে দিন নতুন সাজ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।