প্রতীকী চিত্র
আলোর উৎসব দীপাবলি। আর তার সঙ্গেই আসে বাঙালির কালীপুজো। কালীপুজো মানেই আলোক বর্ণমালায় সেজে ওঠে চারপাশ। বাঙালি বাড়িতে কালীপুজোর সময়ে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা চলতেই থাকে। দূর থেকে আত্মীয় পরিজন আসে বাড়িতে। কালীপুজোর ঠিক দু’দিন পরেই হয় ভাই ফোঁটা। তাই সব মিলিয়ে দীপাবলি, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার মরসুমে বাড়িতে আনন্দ উৎসবের কমতি হয় না। তার জন্য দরকার হয় অনেকখানি জায়গা। শেষ মুহূর্তে নিজের অন্দরমহলকে অন্য ভাবে সাজিয়ে তুলুন।
ঘর রং- দুর্গাপুজোর সময় যদি ঘর রং করা না হয়ে থাকে। তা হলে কালীপুজোর আগের সময়টাই আদর্শ সময় ঘর রং করার। কারণ, সকলে এই সময়ে আলো দিয়ে ঘর সাজান। যে কোনও হালকা সেট যেমন প্যাস্টেল হলুদ বা গোলাপি, ঘিয়ে অথবা সাদা অর্থাৎ যে কোনও উজ্জ্বল রং দিলে ঘরটি আরও উজ্জ্বল এবং খোলামেলা দেখাবে। পাল্টে যাবে আমেজ।
আলো- দীপাবলি বা কালীপুজো মানে আলোর রোশনাই। কালীপুজোর দিনগুলিতে আলো ছাড়া ভাবাই যায় না। বাজারে রাস্তায় বা অনলাইনে বিভিন্ন শেডের এবং আকারের আলো পাওয়া যায়। ঘরের সঙ্গে মানানসই আলো কিনলে (টুনি বা ল্যাম্পশেড) ঘরের শোভা বাড়ায়। এ ছাড়াও বারান্দায় রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের আলো। এই আলো নিঃসন্দেহে ঘরের রূপ বদলে দেবে।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস- ঘর সাজানোর সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা আসবাবপত্র থাকলে জায়গার অপচয় হয়। তাই আসবাবপত্র হোক বা কোনও জিনিস যা আপনার ঘরে দরকার নেই, তার সরিয়ে ফেলাই ভাল। ভারী কাঠের আসবাব সরিয়ে এই দীপাবলিতে আনতে পারেন হালকা আসবাব। হালকা বিছানার চাদর বা কুশন কভার, ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই পর্দা, বা বসার ঘরের জন্য একটি বড় কোনও ছবি।
ঘর সকলের একান্তই আপন। তাই কে কীভাবে ঘর সাজাবেন, তাঁর ব্যক্তিগত রুচি এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। দীপাবলির আগে আপনার ঘরের এই ভোলবদল আপনার মনের আবহাওয়ারও পরিবর্তন করতে পারে।