প্রতীকী ছবি
অন্দরসাজের সৌখিনতা ঘিরে থাকে বাঙালীর রোজনামচাকে। পুজোর আগেও অনেকে তাই অন্দরসজ্জার পরিবর্তন করে নিজের বাসস্থানকে নতুন রূপ দিতে পছন্দ করেন। গৃহকোণে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি নিয়ে আসার জন্য পুজোর আগের অন্দরসাজের পরিবর্তন করতে পারেন বাস্তু মেনে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন জিনিসের অবস্থান পরিবর্তন করে কিংবা, কিছু জিনিসকে সরিয়ে বা নতুন করে রেখে আপনি সাচ্ছল্যের আবহয়াওয়া যোগ করতে পারেন নিজের বাড়িতে।
থাকুক রঙের উপর চোখ -
পুজোর আগে যদি ঘরে নতুন রঙ করতে চান, তাহলে বেডরুমের জন্য বেছে নিতে পারেন হাল্কার উপর বিভিন্ন রঙ যেমন, হাল্কা নীল, সবুজ, কিম্বা গোলাপি। বসার ঘরে করাতে পারেন নীল, হলুদ কিম্বা সবুজের কোনও রকম রঙ। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন রঙের অনেক গভীর প্রভাব রয়েছে মানুষের রোজনামচায়।
জল ভরা বাটিতে ফুল রাখুন -
অন্দরসজ্জায় নতুনত্ব যোগ করতে বাড়ির প্রবেশদ্বারের পাশে কোন টেবিলে বা শেলফে রাখতে পারেন জল ভরা বাটি, তাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন, এটি দেখতেও সুন্দর লাগে এবং বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বহন করে আনে
অন্দরে থাকুক সবুজের ছোঁয়া -
অন্দরমহল সাজিয়ে তুলতে পারেন বিভিন্ন রকম গাছ দিয়েও। বসার ঘরে মানিপ্লান্ট, তুলসি গাছ, আলোভেরা গাছ ইত্যাদি রাখতে পারেন, এদের সাহায্যে অন্দরসজ্জায় বিশেষত্বও যোগ হয় আবার সবুজত্ব, সুখ ও শান্তি আসে ঘরে। ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বাড়িতে না রাখাই ভাল এই ক্ষেত্রে।
প্রতীকী ছবি
হাতির মূর্তি রাখুন ঘরে -
পুজোর সময় শোওয়ার ঘরকে নতুন ভাবে সাজানোর জন্য এক জোড়া হাতির মূর্তি ব্যাবহার করতে পারেন, এতে ঘরে সৌভাগ্যের আগমন ঘটে, এবং সম্পর্কেরও উন্নতি হয়।
ঝর্নার ব্যাবহার অন্দরসাজে -
এছাড়াও অন্যরকম সাজাতে বাড়িতে রাখতে পারেন কোনো ছোটো ঝরনা। সুসজ্জিত কোন ঝরনা খুব সহজেই আপনার অন্দরসাজকে করে তুলতে পারে অনন্য, এবং বাস্তুশাস্ত্র ও ফেং শুই অনুযায়ী ঝরনার দ্বারা খুব সাবলীলভাবে বাড়িতে সাচ্ছল্য আগমন করে।
অ্যকুয়েরিয়ামের সাহায্যে ঘর সাজান -
একইভাবে অ্যকুয়েরিয়াম দিয়ে নতুনভাবে সাজাতে পারেন বাড়ি। বাস্তুশাস্ত্র মতে মাছ ধন ও সমৃদ্ধি বহন করে আনে অন্দরমহলে। এছাড়াও শান্তিপূর্ণ সুখী গৃহকোণ বজায় রাখার জন্য অ্যকুয়েরিয়াম ব্যবহার করে ঘর সাজানো খুব ভালো একটি পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য।