কিন্তু পুজোর এই দিনগুলোয় বাড়ির সবথেকে স্নিগ্ধ পরিবেশকে অবহেলা করলে একেবারেই চলে না। প্রথমেই প্রয়োজন বাড়ির ঠাকুর ঘরের যত্ন নেওয়া।
ঠাকুর ঘর সব সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। বাড়ির সবথেকে পবিত্র স্থান মনে করা হয় ঠাকুর ঘরকে। তাই তাতে নির্মল পরিবেশই বাঞ্ছনীয়।
ঠাকুর ঘরের রং হওয়া উচিত হাল্কা এবং উজ্জ্বল। বেশি জমকালো রং ব্যবহার না করাই ভাল। হাল্কা রং মনকেও শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
বাড়ির পবিত্রতম স্থান বলে ধরা হয় একে। ঠাকুর ঘরের মেঝেতে বেশি ভারী রঙের পাথর ব্যবহার না করাই শ্রেয় বলে মনে করেন অনেকে।
জানলা দরজার পর্দা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালানো হয়, সে ক্ষেত্রে বিপদ এড়াতে সিল্ক জাতীয় পর্দা ব্যবহার না করাই ভাল।
আলপনা ঠাকুর ঘরের সাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের আলপনা কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। খড়ি মাটি দিয়ে সুন্দর করে আলপনা দিলেও বেশ স্নিগ্ধ লাগে।
লক্ষ্মী পুজোয় ঠাকুরের কাপড় বেশ জমকালো রাখা ভাল। এতে প্রতিমা দেখতেও খুব সুন্দর লাগে।
লক্ষ্মী পুজোয় বাড়িতে সব সময়ে ধুপ ধুনো বা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা গেলে সাজসজ্জাকে তা আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
লক্ষ্মী পুজোয় যদি ভোগ রান্না থাকে, তা হলে অবশ্যই পুজোর বাসন আগে থাকতে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। সেই বাসনের গায়ে যদি আলপনা আঁকা যায়, সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে।
ঠাকুরঘরের দরজা হওয়া উচিত নজরকাড়া। কাঠের দরজার উপর সূক্ষ্ম কাজ বেশ সাবেক আমেজ আনে। বাড়ির অন্যান্য ঘরের দরজার থেকে একেবারে আলাদা হলে সহজেই অতিথিদের নজর কাড়বে আপনার ঠাকুর ঘর।
ঠাকুরের সিংহাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কাঠ কিংবা শ্বেত পাথরের তৈরি সাদা সিংহাসন ঠাকুর ঘরের ভোল পাল্টে ফেলতে পারে।
আলোকসজ্জাও জরুরি একটি বিষয়। ঠাকুর ঘরে সুন্দর একটি ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। দরজায় আলো থাকলে শুরুতেই বেশ উজ্জ্বল দেখাবে। এবং সিংহাসনে টুনি লাইটের মতন রঙীন আলো দিয়ে সাজালে থাকলে অনেকটাই উজ্জ্বল দেখাবে।
বাড়ির প্রত্যেকটি অংশের মতো ঠাকুর ঘরকেও পুজোর দিনগুলিতে যত্ন সহকারে সাজালে বাড়ির স্নিগ্ধতা উজ্জ্বলতা দুই-ই বজায় থাকে।