উৎসবের মরশুমে সাজিয়ে তুলুন স্নানঘর
পুজোর সময়ে বাড়ি সাজানোর পরিকল্পনা তো করে ফেলেছেন। কিন্তু আপনি কি স্নানঘর নিয়ে চিন্তিত? ভাবছেন, কী করে স্নানঘরের চেহারাটাও বদলে ফেলবেন? এ বার পুজোয় বরং সে কাজটা করেই ফেলুন! আপনাকে সাহায্য করতে পারে নানা রকমের গাছ। পুজোর সাজ হিসেবে স্নানঘরে থাক সবুজ। তাক লেগে যাক অতিথিদের। তবে হ্যাঁ, গাছে স্নানঘর সাজানোর আগে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। পুজোর ঠিক পরেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে শুরু করবে। দিনের আলোর দৈর্ঘ্যও কমে যাবে। তাই এমন গাছ স্নানঘরে রাখা ভাল, যেগুলি এই পরিবেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম। পুজোর সময়ে তো বাড়ি থেকে বেরোবেনই। এই দিনগুলোয় গাছের যত্ন নেওয়াও হবে না সে ভাবে। তাই এমন গাছই স্নানঘরে রাখুন, যেগুলি স্বল্প যত্নেও বহু দিন ভাল ভাবে বেঁচে থাকবে।
এ বার দেখে নেওয়া যাক পুজোর সময়ে স্নানঘরে কোন কোন গাছ রাখতে পারেন।
অ্যালোভেরা: খুব পরিচিত গাছটি নানা রকম পরিবেশে অতি সহজে বেঁচে থাকতে পারে। বাতাস পরিশুদ্ধও করতে পারে। বারান্দার বদলে এই গাছ রাখুন স্নানঘরে।
স্নেক প্ল্যান্ট: ঘরের ভিতরে রাখার আদর্শ গাছ। পুজোর সময়ে একেও রাখতে পারেন স্নানঘরে। হলুদ এবং সবুজ পাতার গাছটি আর্দ্র পরিবেশে ভাল ভাবে বাঁচবে। ক’দিন যদি বাড়িতে না-ও থাকেন, তাতেও চিন্তা নেই। দিব্যি বেঁচে থাকবে এই গাছ।
মানি প্ল্যান্ট: মাটিও লাগে না। শুধুমাত্র জলেই বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। কাচের পাত্রে জল রেখে তার মধ্যে গাছের গোড়া ডুবিয়ে রেখে দিন। পুজো তো বটেই, গোটা শীতকালও বেঁচে থাকবে মানি প্ল্যান্ট। স্নানঘরের চেহারাও বদলে যাবে।
ব্যাম্বু প্ল্যান্ট: বেসিনের পাশে কোন গাছ রাখবেন বুঝতে পারছেন না? তা হলে ছোট ছোট বাঁশ গাছ রাখতে পারেন। বিশেষ চিনা বাঁশ এ জন্য একেবারে আদর্শ। টবেই বেঁচে থাকতে পারে এগুলি অতএব? পুজোয় এ বার স্নানঘরে হোক সবুজের অভিযান?
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।