বই পড়া লোকের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে, সে এক লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু এখনকার অন্দরসজ্জা করতে গিয়ে বই রাখার র্যাক কিংবা ছোটখাটো লাইব্রেরি বানাতে হচ্ছে বিভিন্ন বাড়িতে, সে কথা বলাই যায়। এই আলোচনায় বইয়ের র্যাক এবং বইঘর -- দুটো নিয়েই বলবো।
বইয়ের র্যাক সাধারণত ড্রইং রুমে হয়। সোফার বিপরীত দেওয়ালে ডিসপ্লে ইউনিটের সঙ্গে সাধারণত এলইডি থাকে। তার দু'পাশে বেশ কিছু বই রাখার তাক বানিয়ে নেওয়া যায়। এটা টোটাল একটা ইউনিটেও হতে পারে, আবার আলাদা করেও হতে পারে। একটা বড় দেওয়ালের ডিসপ্লে ইউনিটে বেশ কিছু বই রাখার ব্যবস্থা করা যায়। এ ছাড়াও ড্রইং রুমের অন্য দেওয়ালগুলোতেও বইয়ের তাক করা যেতে পারে। তবে গ্লাস ডোর দেওয়া বা স্লাইডিং ডোর দেওয়া কোনও শোকেসে বই না রাখাই ভাল। এতে দৃষ্টিসুখে বাধা হয়। বইয়ের র্যাকের মাপ হওয়া উচিত গভীরতায় মোটামুটি আট ইঞ্চি এবং উচ্চতায় এক ফুটের মতো। এ ছাড়াও ছোট এবং বড় মাপের বইয়ের র্যাকও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
বই রাখার নানান জায়গা বার করে নেওয়া যায়। বাঙালি মধ্যবিত্তদের জন্য তো বই রাখার নানান জায়গা খুবই দরকার। যেমন সোফার পাশে সাইড ডেবিলের মধ্যে কোনও ড্রয়ারের দরকার না লাগলে সুন্দর বই রাখার জায়গা বানিয়ে নেওয়া যায়। সোফা এবং ডাইনিং রুমের সাইড পার্টিশনের আসবাবে বই রাখা যেতে পারে। এখানের বইগুলো সোফায় বসলে হাতের নাগালেই থাকে। বসে পড়তে গেলে সুবিধে হয়। জানালার নীচে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে কিছুটা এমটি বক্স থাকে। এখানে প্লাইয়ের ফ্রেম বানিয়ে অন্তত দুটো তাক করে সেখানে বই রাখা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই দেখতে হবে যে, দেওয়ালে ড্যাম্প যেন না লাগে। ড্যাম্প একবার লেগে গেলে ফ্ল্যাটেও বইকে অনেক দিন পর্যন্ত ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা মুশকিল
আরও পড়ুন: করোনা আবহে পুজো, বাড়ির অন্দর স্যানিটাইজেশনে এই সব মাথায় রাখুন
মেজেনাইন ফ্লোর কিম্বা চিলেকোঠার ঘর বইঘরের জন্য দারুণ জায়গা।ছবি :শাটার স্টক
যাঁরা বাড়িতে মিনি বার রাখেন, তাঁদের জন্য বার কাম ছোট্ট বই রাখার জায়গা বানানো যেতে পারে। এটা বেশ অন্য রকম এবং আকর্ষণীয় হয়। বাড়ি বা ফ্ল্যাটে বেশ কয়েকটা ঘর থাকলে তার মধ্যে একটিতে ছোট লাইব্রেরি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: মন থাকবে সতেজ, বাড়ির বাগানে সহজেই হবে এই সব ফল
সম্পূর্ণ একটা বইঘর বা লাইব্রেরি অনেক বইপ্রেমীদেরই স্বপ্নের জায়গা। একটা পুরো ঘর হবে বইয়ের। কিন্তু এখনকার বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে জায়গা কম। তাই তার মধ্যেই গুছিয়ে একটা বইঘরের ভাবনা করা যায়। বাড়িতে মেজেনাইন ফ্লোর কিম্বা চিলেকোঠার ঘর বইঘরের জন্য দারুণ জায়গা। শান্ত, নিরিবিলি জায়গা চাই বই পড়ার জন্যে। প্রকৃতির ছোঁয়া থাকলে আরও ভাল হয়। ছাদের বা বাগানের মধ্যে গ্লাস হাউস থাকলে সেই ঘরেও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে লাইব্রেরি। টানা বইয়ের তাক কিম্বা ছোট ছোট আলাদা ভাবে বইয়ের র্যাক বা ক্যাবিনেট। স্টাডি টেবিল আর চেয়ার থাকতে পারে লাইব্রেরিতে। তা না হলেও কোনো অসুবিধে নেই। সুন্দর একটা সোফার অ্যারেঞ্জমেন্ট, বা ইজি চেয়ার-- এ সব রাখা যেতে পারে বইঘরে। বইঘরে খুব বেশি আসবাব ভালো লাগে না। যত ফাঁকা আর হালকা আসবাব হয়, তত ভাল।