আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন মানুষ রয়েছেন যাঁদের আলাদা করে কোনও পরিচিতির প্রয়োজন হয় না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে এমন ভাবে জুড়ে থাকেন যে তাঁদের খানিক অনুপস্থিতি বুঝিয়ে দেয় তাঁদের প্রয়োজনীয়তার কথা। অথচ এই মানুষগুলিকে কখনও আলাদা করে ধন্যবাদ জানানো হয়ে ওঠে না। সময় হয়ে ওঠে না তাঁদের সঙ্গে উৎসবের মরশুমের একটা অংশ ভাগ করে নেওয়ার।
সেই ফাঁকা জায়গা পূরণের জন্যেই, এই বছরও পুজোয় নিজের ‘প্রিয় মানুষ’দের সঙ্গে বিজয়া উদযাপনে মাতলেন টলিপাড়ার তারকারা। কারও বা অ্যাসিস্ট্যান্ট, কারও সাপোর্ট স্টাফ, কখনও বা বন্ধু, কখনও বা দীর্ঘদিনের সঙ্গী— গতে বাঁধা উদযাপন থেকে বের হয়ে এসে এই সব মানুষদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারকে মিষ্টিমুখ করালেন তাঁরা। তালিকায় ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়, পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, রণজয় বিষ্ণু, সুজয়নীল, শন বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রানি দাশ। লাইভ চ্যাটে উঠে এল তাঁদের মধ্যে জমে থাকা, না জানা কত গল্প। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
ট্রেনার এবং দেহরক্ষী শান্তনুকে নিজের অফিসে ডেকে বিজয়ার সাপ্রাইজ দিলেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। শান্তনুও খোলসা করলেন পর্দার পিছনে থাকা ব্যক্তি আবিরের গল্প। সঙ্গে চলল মিষ্টিমুখ।
কলকাতার জোকা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের পথ অতিক্রম করে ফলতায় সোনালীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে বিজয়া জানালেন গায়িকা পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়।
টেলি অভিনেতা শন বিজয়া জানালেন তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী সাহাবাবুকে। সাহাবাবু বড় মজার মানুষ। লাইভ চ্যাটে তাঁকে নিয়েই উঠে এল নানা গল্প।
ত্রয়োদশীর সকালেই শ্বশুরমশাইকে বিজয়া জানাতে তাঁর বাড়ি পৌঁছলেন সুজয়নীল। লাইভ চ্যাটেই উঠে এল তাঁদের দু'জনের সম্পর্কের দৃঢ়তার ছবি।
অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু এই বছরের বিজয়া পালন করলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু অর্জুনের সঙ্গে। পুজো ছাড়া বাকি সময়টা অর্জুন স্কটল্যান্ডেই কাটান।
দেবযানীর বাড়িতে দীর্ঘদিন পরিচারিকা হিসাবে কাজ করছেন জয়া। তাঁকেই সেলিব্রেশন হাতে চমকে দিলেন দেবযানী। সঙ্গে চলল মিষ্টিমুখ।
দর্শনার বিজয়া কাটল তাঁর দুই কাছের মানুষ অনিতা দি এবং রাখি দির সঙ্গে। মায়ের চলে যাওয়ার পরে এই দু'জনের কাছেই বড় হয়েছে দর্শনা।
ক্যাডবেরি হাতে বিজয়ার সাপ্রাইজ দিতে চন্দ্রানী দাশ তাঁর গাড়ি ড্রাইভার, পথচলার সর্ব ক্ষণের সঙ্গী ঈশানের বাড়িতে। উঠে এল নানা গল্প। সঙ্গে চলল মিষ্টিমুখ।